• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদনের আইওডি ঘোষণা আজ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২০  

 

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই উৎপাদন শুরু করেছিল দেশের সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধুনিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ‘পায়রা’। এবার বাণিজ্যিক উৎপাদনের যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে ছাড়পত্র পেতে সাতদিনের নির্ভরযোগ্য উৎপাদন পরীক্ষা বা ট্রায়াল চলছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির। ছাড়পত্র পেলেই শুরু হবে বাণিজ্যিক উৎপাদন।

আর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের আইওডি ঘোষণা করা হবে সোমবার (১৩ এপ্রিল)।

বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিসিপিসিএল) সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার ছাড়পত্র পেতে ৭ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রের নির্ভরযোগ্য উৎপাদন পরীক্ষা শুরু হয়। এ নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা উৎপাদন সাত দিন চলবে। এই সাত দিনের একদিন পিডিবি কেন্দ্রটিকে টানা ছয় ঘণ্টা চালানোর নির্দেশ দেয়। এরই মধ্যে আইওডি ঘোষণার জন্য ১২ সদস্যর একটি পর্যবেক্ষক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা বলেন, এখানে দুটি ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা পৃথকভাবে ৬৬০ মেগাওয়াট করে।  কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করে গত ১৩ জানুয়ারি। এরপর থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষণের বিভিন্ন ধাপে উত্তীর্ণ হয়। এসব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাণিজ্যিক উৎপাদনের ছাড়পত্র দেয়। এখন আমরা চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়ার কার্যক্রমে আছি।

জানা গেছে, এ পরীক্ষায় পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে যেতে পারলে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাণিজ্যিক উৎপাদন করার ছাড়পত্র পাবে। সোমবার কেন্দ্রের আইওডি ঘোষণা করা হবে।

এদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে গেছে দেশের সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধুনিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন। গত জানুয়ারি মাসেই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধনের তারিখ চেয়ে অবহিত করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আশা করা হয়, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন। কিন্তু দেশের করোনা পরিস্থিতির কারণে এর উদ্বোধন পিছিয়ে যায়।

এর আগে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্মিত আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

২০১৪ সালের ৯ জুন চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ‌্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) এর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) বাংলাদেশে একটি ১৩২০  মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য সমঝোতা স্মারক সই করে। এরপর সমঝোতা স্মারক, যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন আর ক্রোড়পত্র আহ্বানের পর ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শুরু হয়।

চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান এনইপিসি কেন্দ্রটির ঠিকাদার নিযুক্ত হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির আর্থিক সংস্থানের আগেই ঠিকাদারকে ২০ ভাগ অর্থ ব্যয়ের শর্ত দেওয়া হয়। এতে করে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির চুক্তি সইয়ের পরের দিন থেকেই কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করে এনইপিসি। যাতে কেন্দ্রটির কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২২ সালে।