• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

নিজের বাড়ি পাচ্ছে মানিকগঞ্জের ১১৫ পরিবার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২১  

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পঞ্চাশোর্ধ্ব ফুলমালা বেগম। অকালে স্বামীর মৃত্যুর পত যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে বাড়ি। জমি নেই, ঘর নেই তাই রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘর তুলে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন নিঃসন্তান এই নারী। অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

অবশেষে শিবালয়ের জাফরগঞ্জ এলাকার নিজের নামে একটি বাড়ি পাচ্ছেন বিধবা ফুলমালা বেগম। সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পে জমি আর ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে তার নামে। তার মতো মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলায় ১১৫টি পরিবার পাচ্ছে নিজের বাড়ি। প্রথম পর্যায়ে বিধবা, প্রতিবন্ধী স্বামী পরিত্যক্তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ভূমি ও গৃহহীনরা আসবেন এই প্রকল্পের আওতায়।

জানা গেছে, ২০ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন।

শিবালয় ও ঘিওর উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, খাস জমি ভরাট করে সারিবদ্ধভাবে ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরের চালে লাল রঙের টিন। দেয়ালের রং থাকবে নীল। থাকার জন্য রয়েছে দুটি কক্ষ। রয়েছে স্টোর রুম, রান্না ঘর এবং টয়লেট।

প্রকল্প এলাকায় কথা হয় কয়েকজন উপকারভোগীর সঙ্গে। যারা অন্যের বাড়ি অথবা রাস্তার পাশে ঘর তুলে বসবাস করতেন। নিজেদের একটি ঘর পেয়ে তারা খুশি সবাই। জমির মালিকানাসহ ঘর পাওয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। যতদিন বেঁচে আছেন তার জন্য দোয়া করবেন তারা।

ঘিওরের ইউএনও আইরিন সুলতানা জানান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন নিজের বাড়ি মনে করে ঘরগুলোকে তৈরি করার জন্য। এজন্য তিনি ইট, টিন থেকে শুরু করে প্রতিটি মালামালের গুনগত মাণ ঠিক রাখার চেষ্টা করেছেন।

শিবালয়ের ইউএনও বি এম রুহুল আমিন রিমন বলেন, দুই শতাংশ জমির বন্দোবস্তের কাগজসহ উপকারভোগীরা দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘর পাচ্ছেন। প্রকল্প এলাকায় যাতায়াত সুবিধা, বিদ্যুৎ সংযোগ, সোলার সিস্টেম, বিশুদ্ধ পানিসহ নানা সুবিধা দিতেও কাজ করছেন তারা।

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় শিবালয়ে ২১টি, ঘিওরে ২৫টি, সাটুরিয়ায় ৩০টি, হরিরামপুরে ১২টি, সিংগাইরে ১২টি এবং সদর উপজেলায় ১৫টি ঘর তৈরি করা হয়েছে।