• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

নাশকতার পরিকল্পনা : আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যের দায় স্বীকার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২১  

নাস্তিক, ব্লগার ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- চান মিয়া ও ফয়েজুর রহমান ওরফে আহমাদ আদনান।

সোমবার (৭ জুন) রিমান্ড শেষে তাদেরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।

এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দুই আসামির জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী আসামি ফয়েজুর রহমান ওরফে আহমাদ আদনান এবং ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া আসামি চান মিয়ার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে, গত ২ মে ফয়েজুর ও চান মিয়াকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১ মে রাতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট এই দুজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সেই মোবাইলে গুরাবা মিডিয়া, আল হিকমাহ মিডিয়া, আল খিদমাহ মিডিয়া প্রকাশিত উগ্রবাদী বার্তা সম্বলিত বইয়ের সফট কপি (পিডিএফ) পাওয়া যায়। তারা ফেসবুকে উগ্রবাদী প্রচারণার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ ও বাছাই করে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করত।

জানা যায়, ফয়েজ সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আর চান মিয়া সোনাপুর ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তিনি পেইন্টিংয়ের কাজের আড়ালে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের কাজ করতেন। তাদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।