• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

নাঈম নিজেকে অনেক শুধরেছে: সুমন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৯  

 


বাংলাদেশ-ভারতের তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে সফরকারীদের প্রাপ্তির খাতায় এক নম্বরে থাকবেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ত্রিদেশীয় সিরিজে ডাক পেলেও খেলার সুযোগ হয়নি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। ভারত সিরিজে সুযোগ পেয়েই নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন নাঈম শেখ।


সোমবার (১১ নভেম্বর) মিরপুরে নাঈম শেখের ব্যাপারে কথা বলেন নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। সেখানে তিনি আরও জানান, তিন ম্যাচের সিরিজে লিড নিয়েও কেন সিরিজ জিততে পারলো না বাংলাদেশ।

ভারত সিরিজে নাঈম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তিন ম্যাচে ৪৭.৬৬ গড়ে ১০৭ বলে করেছেন সর্বোচ্চ ১৪৩ রান। যেখানে ইনিংস সর্বোচ্চ রান ৮১। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দিল্লিতে ২৮ বলে করেছিলেন ২৬ রান। দুটি বাউন্ডারির পাশাপাশি মেরেছিলেন একটি ছক্কা। রাজকোটে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ৩৬। এবার আরও সাহস বাড়িয়ে নিয়ে ৩১ বলে সাজানো ইনিংসে মারেন পাঁচটি বাউন্ডারি। নাগপুরে সিরিজের তৃতীয় বা শেষ ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে ফরিদপুরের এই তরুণ খেললেন ছোটো ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। মাত্র ৪৮ বলে করেন ৮১ রান। তার টর্নেডো ইনিংসে ছিল ১০টি চার আর দুটি দেখার মতো ছক্কা।

নাঈমের ব্যাপারে সুমন জানান, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো খবর নাঈম শেখের রান করাটা। সে আমাদের হাই-পারফরম্যান্সের খেলোয়াড়। দুই বছর ধরে তাকে হাই-পারফরম্যান্সে তৈরি করা হচ্ছিল। পারফরম্যান্স করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ট্যালেন্টেড খেলোয়াড়ই আসে, কিন্তু পারফরম্যান্স সবার হয় না। নাঈম শেখকে দেখে মনে হচ্ছে যে একজন পারফরমার। প্রথম দুটি ম্যাচে বড় রান করতে পারেনি, কিন্তু শেষ ম্যাচটাতে রানটা বড় করেছে। সবাইকে দেখিয়ছে সে বড় রান করতে পারে।’

তিনি আরও জানান, ‘আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রান করতে বিশেষ ক্ষমতা থাকা লাগে। মনে হচ্ছে নাঈমের মধ্যে সেটা আছে, যদিও এতো তাড়াতাড়ি মন্তব্য করাটা ঠিক নয়। মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছে। মনে হচ্ছে ওর পিছনে যে ইনভেস্টমেন্ট করেছি ভবিষ্যতে আরও কাজে লাগবে।’

জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল যোগ করেন, ‘নাঈম শেখ হাই-পারফম্যান্স দলে আছে দুই-তিন বছর হলো। গত বছরও ছিল, এ বছরও আছে। প্রথম দিক থেকেই খুই বেশি ফ্লাশে ছিল। কিন্তু এই বছর দেখলাম ওর নিজের ব্যাটিংয়ে অনেক পরিবর্তন এনেছে। একটা খেলার জন্য কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিংটা রেকটিফাই করাটা। শুরুর দিকে যখন এসছিলে হাই-পারফরম্যান্স টিমে তখন টেকনিক এতো আকর্ষণীয় ছিল না। অনেক বেশি শট খেলতো। তবে তার শট খেলার সামর্থটা সবসময়ই ছিল। আড়াআড়ি শটটা একটু বেশি খেলতো। নাঈম নিজেকে অনেক শুধরেছে। এই বছর তার ব্যাটিংয়ে অনেক পরিবর্তন দেখলাম। চার দিনের ম্যাচে অনেক নিয়ন্ত্রিত ব্যাট করে।’

শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের না পারার কারণ জানাতে গিয়ে হাবিবুল বললেন, ‘আমরা ভলো খেলছি না বলে পারছি না, অন্য কোনো কারণ নেই। ১৭৫ রানের টার্গেটে একজন ব্যাটসম্যান ৮১ করেছে, একজন ২৭ করেছে, বাকি কেউ রান করেনি। আপনি যখন চেজ করবেন বা আগে ব্যাট করবেন, তখন একসাথে দুটো উইকেট পড়লে তখন পিছিয়ে থাকবেন। আমাদের পর পর তিনবার দুটি করে উইকেট পড়েছে। এটা একবার হতে পারে, তিনবার হওয়াতে আমরা আরও পিছিয়ে পড়েছি। একটার সাথে আরেকটা উইকেট পড়াটা কখনই ভালো না। অবশ্যই চাপের ম্যাচে এগুলো বেশি হচ্ছে। কিন্তু আপনারা যদি অন্যভাবে দেখেন আমার মনে হয় সিরিজটাতে আমরা ভালো খেলেছি। আমরা যখন ভারতে গিয়েছিলাম, সবাই ভেবেছিল ভারত খুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, সিরিজটা আমরা খুব সহজেই হেরে যাব। যদিও বাংলাদেশ হেরেছে, কিন্তু সবাই একমত হবে রেজাল্টটা অন্যরকম হলেও হেতে পারতো।’