• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

নতুন ৪ আন্তর্জাতিক রুটে ডানা মেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমান

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০  

শীতকালীন সূচিতে টরেন্টো, টোকিও, গুয়াংজু ও চেন্নাইসহ নতুন চারটি আন্তর্জাতিক রুটে ডানা মেলতে চায় বাংলাদেশ বিমান। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নভেম্বরের মধ্যেই এসব ফ্লাইট চালু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ অঞ্চলের দেশগুলোর ট্রানজিট যাত্রী পরিবহনে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সূচি। বিশ্লেষকদের মতে, যাত্রী খরা থাকায় কোভিড পরবর্তী সময়ে নতুন রুট চালুর সিদ্ধান্ত বুঝে শুনে নিতে হবে।

গেল দু্ বছরে বাংলাদেশ বিমানের বহরে ছয়টি অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ যোগ হলেও রুট বেড়েছে মাত্র তিনটি। চলতি বছর একাধিক নতুন রুটে যাত্রার উদ্যোগও পিছিয়ে পড়েছে করোনা মহামারীতে। বিভিন্ন দেশ নিষেধাজ্ঞা না তোলায় বিদ্যমান ১৭টি রুটের মধ্যে বর্তমানে মাত্র চারটি রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। এর মধ্যেই টোকিও, টরন্টোসহ নতুন চারটি রুটে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান। টরন্টো ছাড়া বাকি তিনটি রুটে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এমডি মোকাব্বির হোসেন বলেন, কমার্শিয়াল অপারেশন শুরু হলেই এই ৪টি রুট আমরা শুরু করবো।

বিশ্লেষকের মতে, কোভিড পরিস্থিতিতে সাশ্রয়ী ভাড়া নির্ধারণ ও ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করা না গেলে দুরপাল্লার নতুন রুট চালু করলে লোকসান হতে পারে।

এভিয়েশন খাত বিশ্লেষক ওয়াহিদুল আলম বলেন, অনেক বিদেশি এয়ারলাইন্স এখান থেকে অপারেট করছে। তাই ভাড়া নির্ধারণ ও ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য সুবিধা না থাকলে তো আমরা যাত্রী পাব না।  

আন্তর্জাতিক রুটে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে বিমানকে চুক্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক কর্মকর্তা।

বিমান সাবেক পরিচালক নাফিস ইমতিয়ায উদ্দিন বলেন, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে বিমানকে চুক্তি করতে পারলে তাহলে ভাল সুবিধা পাওয়া যাবে।

কোভিডের কারণে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের চেয়ে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সাত লাখ যাত্রী কম পরিবহন হয়েছে বিমানের। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা আয়েটার হিসাবে আকাশপথে ভ্রমণ স্বাভাবিক পর্যায়ে আসতে দু বছর লাগবে।