• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার চেনার উপায়

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২০  

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধির উপর গুরুত্বারোপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কেননা এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আটকাতে হবে কোভিড-১৯। তাই মাস্ক পরার পাশাপাশি বারবার হাত ধোয়ার কথা বলা হয়েছে। হাত জীবাণুমুক্ত রাখার ব্যাপারটি যেমন সাবান দিয়ে করা যায়, তেমনি স্যানিটাইজার দিয়েও করা যায়। 

আর অনেক ক্ষেত্রে এই স্যানিটাইজারই সহজবোধ্য মানুষের জন্য। কেননা অফিস-আদালত, রাস্তাঘাটে চলাফেরা, অনেকের বারে বারে পানি লাগানোতে সমস্যা ইত্যাদি কারণে স্যানিটাইজার জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাজারে স্যানিটাইজারের চাহিদাও বেড়েছে বহুগুণ। একসময় এই স্যানিটাইজার পাওয়াই যাচ্ছিল না। এখন যদিও এর কোন কমতি নেই। কিন্তু এই স্যানিটাইজার নকল করে বাজারজাত করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। 

বিভিন্ন কোম্পানির নাম ব্যবহার করে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতসহ বিভিন্ন দোকানে। এসব নকল পণ্য ব্যবহারের কারণে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ তো দূরের কথা, উল্টো সংক্রমণ আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

তবে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার চেনার কার্যকর উপায় রয়েছে। এবার হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মান পরীক্ষা করার ৩টি ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে নিন-

ঘরোয়া পদ্ধতি ১ : টিস্যু পেপার/টয়লেট পেপার টেস্ট

প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসেবে নিন টিস্যু পেপার বা টয়লেট পেপার, কয়েন বা বোতলের ক্যাপ ও বলপয়েন্ট কলম। এক টুকরা টিস্যু পেপার বা টয়লেট পেপার নিয়ে সমতল সারফেসের ওপর বিছিয়ে নিন। একসঙ্গে কয়েকটি টিস্যু পেপার ব্যবহার করবেন না। এবার টিস্যু পেপারটির ওপর একটি কয়েন বা বোতলের ক্যাপ বসিয়ে বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করে বৃত্ত আঁকুন। বৃত্তটা যেন গাঢ় ও স্পষ্ট হয়। 

এই বৃত্তের মাঝখানে কয়েক ফোঁটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ঢালুন। এত বেশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ঢালবেন না, যাতে দ্রুত বৃত্তের রেখাকে অতিক্রম করে অথবা এত কম হ্যান্ড স্যানিটাইজার ঢালবেন না যাতে কখনোই বৃত্তের রেখা পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ধীরে ধীরে বৃত্তের রেখা স্পর্শ না করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। 

হ্যান্ড স্যানিটাইজারে পর্যাপ্ত অ্যালকোহল থাকলে বৃত্তের রেখা দ্রবীভূত হবে ও কালি ছড়াতে থাকবে। কিন্তু হ্যান্ড স্যানিটাইজারে যথেষ্ট অ্যালকোহল না থাকলে বৃত্তের রেখা দ্রবীভূত হবে না ও কালি ছড়াবে না। তখন মনে করবেন এটি নকল।

ঘরোয়া পদ্ধতি ২ : হুইট ফ্লাওয়ার ডাফ টেস্ট

প্রয়োজনীয় উপকরণ: ময়দা ও চামচ। একটি প্লেটে এক টেবিল চামচ গমের ময়দা নিন। অথবা অন্যান্য ময়দাও নিতে পারেন যা পানির সংস্পর্শে দ্রুত কাইয়ে পরিণত হয়। এবার যে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মান পরীক্ষা করতে চান সেখান থেকে এক টেবিল চামচ নিয়ে ময়দার ওপর ঢেলে দিন। এর চেয়ে বেশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেবেন না। এবার কাই তৈরি করতে ময়দা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে দলাইমলাই করুন। 

হ্যান্ড স্যানিটাইজারে সঠিক পরিমাণে অ্যালকোহল থাকলে ময়দা আঠালো হবে না বা কাই তৈরি হবে না, হ্যান্ড স্যানিটাইজার শুকিয়ে যাবে ও ময়দা পাউডার হিসেবে রয়ে যাবে। কিন্তু হ্যান্ড স্যানিটাইজারে অতিরিক্ত পানি থাকলে ময়দা দ্রুত আঠালো হলে ও শেষপর্যন্ত কাইয়ে পরিণত হলে মনে করবেন এটি নকল স্যানিটাইজার।

ঘরোয়া পদ্ধতি ৩ : হেয়ার ড্রায়ার টেস্ট

প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসেবে হেয়ার ড্রায়ার, চামচ, বাটি ও পানি দরকার হবে। একটি ছোট বাটিতে এক টেবিল চামচ হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিন। আরেকটি বাটিতে কিছু পানি নিন। এবার হেয়ার ড্রায়ারে হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে ৩০ সেকেন্ড শুকাতে দিন। এর আগে হেয়ার ড্রায়ারকে গরম করে নিন। একইভাবে একই তাপমাত্রায় পানিকেও শুকাতে দিন। 

হ্যান্ড স্যানিটাইজারে সঠিক পরিমাণে অ্যালকোহল থাকলে পানির তুলনায় বেশি শুকাবে, কিন্তু অতিরিক্ত পানি থাকলে উভয়ের মধ্যে তেমন পার্থক্য দেখা যাবে না। 
সূত্র : ইন্টারনেট