ধূসর দিনগুলোতে ফিলিপ-এলিজাবেথের বিয়ে ছিল রংয়ের ঝলকানি
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২১
রাজকীয় এক প্রেমের গল্পের অবসান ঘটল। ইতি ঘটল দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের। বলছিলাম ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং তার স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপের কথা।
শুক্রবার ৯৯ বছর বয়সে প্রিন্স ফিলিপ মৃত্যুবরণ করেন। ষাট বছরেরও বেশি সময় ব্রিটেনের রানির পার্শ্ব-সহচর ও একান্ত সমর্থক প্রিন্স ফিলিপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ রাজ পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিতে পরিণত হন।
৭৩ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং তার স্বামী ফিলিপ। প্রিন্স ফিলিপ যখন ডার্টমাথে ব্রিটানিয়া রয়্যাল নেভাল কলেজের ক্যাডেট, তখন ওই কলেজ পরিদর্শন করেন রাজা ষষ্ঠ জর্জ এবং রানি এলিজাবেথ। সঙ্গে ছিলেন তাদের দুই কিশোরী কন্যা- প্রিন্সেস এলিজাবেথ ও প্রিন্সেস মার্গারেট।
সেটা ছিল ১৯৩৯ সাল। ওই সফরে দুই কিশোরী প্রিন্সেসের সাথী হয়ে তাদের সঙ্গ দেন প্রিন্স ফিলিপ। তরুণ প্রিন্স ওই সফরে ১৩ বছরের প্রিন্সেস এলিজাবেথের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিলেন।
১৯৪২ সালের অক্টোবরের মধ্যে প্রিন্স ফিলিপ হয়ে ওঠেন রয়্যাল নেভির তরুণতম ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট। সে সময় তারা দু’জন প্রচুর চিঠি চালাচালি করতেন। বেশ কয়েকবার রাজপরিবারের সঙ্গে থাকার আমন্ত্রণও পেয়েছেন তিনি।
এরকমই একটি সফরের পর ১৯৪৩ সালের বড়দিনের সময় এলিজাবেথ তার প্রসাধনের টেবিলে প্রিন্সের একটি ছবি সাজিয়ে রাখেন। তাদের সম্পর্ক গভীর হয়ে ওঠে যুদ্ধ পরবর্তী দিনগুলোতে। কিন্তু তাদের এই সম্পর্কের বিরোধিতা করেছিলেন রাজপরিবারের কেউ কেউ। কারণ তারা মনে করতেন ফিলিপের আচরণ ‘রুক্ষ্ম ও খুব একটা ভদ্র’ নয়।
কিন্তু প্রিন্সেস এলিজাবেথ বেশ ভালোভাবেই ফিলিপের প্রেমে পড়েছিলেন। ১৯৪৬ সালের গ্রীষ্মে ফিলিপ রাজার কাছে গিয়ে তার মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন এবং প্রথম সাক্ষাতের আট বছর পর তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের আগে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিতে হয়েছিল ফিলিপকে। গ্রিক পদবী বাদ দিয়ে তিনি তার মায়ের ইংরেজ পদবী মাউন্টব্যাটেন গ্রহণ করেছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানের আগের দিন রাজা ষষ্ঠ জর্জ তাকে ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’ উপাধি দেন। আর বিয়ের দিন সকালে তাকে ‘ডিউক অব এডেনবার্গ’ করা হয়।
ওয়েস্টমিনস্টার গির্জায় ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সে সময় উইনস্টন চার্চিল বলেছিলেন যুদ্ধ পরবর্তী ব্রিটেনের ধূসর দিনগুলোতে ওই বিয়ে ছিল রংয়ের ঝলকানি। তাদের বিবাহিত জীবনের শুরুটা ছিল খুবই আনন্দঘন।
এক সময় রয়্যাল নেভিতেও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে তার ক্যারিয়ার। বিয়ের পর ফিলিপের পোস্টিং হয় মাল্টায়। কিন্তু এই জীবন খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। তাদের প্রথম সন্তান প্রিন্স চার্লসের জন্ম হয় বাকিংহাম প্রাসাদে ১৯৪৮ সালে। তার দু’বছর পর ১৯৫০ সালে প্রিন্সেস অ্যানের জন্ম হয়।
১৯৫০ সালে নৌবাহিনীতে তরুণ ফিলিপের ক্যারিয়ার ছিল বেশ তুঙ্গে। সেসময় রাজা ষষ্ঠ জর্জের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকায় তার কন্যাকে আরও বেশি করে রাজার দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয় এবং ফিলিপের তখন স্ত্রী এলিজাবেথের পাশে থাকার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
১৯৫১ সালের জুলাই মাসে রয়্যাল নেভি ছেড়ে দেন প্রিন্স ফিলিপ। ক্ষোভ পুষে রাখার মানুষ ছিলেন না তিনি। তবে পরবর্তী জীবনে তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল নেভিতে তার ক্যারিয়ার আরও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ না পাওয়া তাকে দুঃখ দিয়েছিল।
১৯৫২ সালে রাজ দম্পতি কমনওয়েলথ সফরে যান। ওই সফরে প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল তৎকালীন রাজা এবং রানির। ওই সফরে ফেব্রুয়ারি মাসে তারা যখন কেনিয়ায় শিকারীদের একটি বাসস্থানে ছিলেন, তখন খবর আসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজা ষষ্ঠ জর্জ মারা গেছেন।
মৃত্যুর খবর ফিলিপই পৌঁছে দেন এলিজাবেথের কাছে। প্রিন্স ফিলিপের একজন বন্ধু পরে বলেছিলেন, এই খবর শুনে ফিলিপের মনে হয়েছিল ‘তার মাথায় অর্ধেক পৃথিবী ভেঙে পড়েছে।’
রানির অভিষেকের সময় রাজ পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয় যে রানির পর সব কিছুতেই সবার আগে থাকবে ফিলিপের স্থান কিন্তু সংবিধানে তার কোনো স্থান থাকবে না।
রাজ পরিবারকে আধুনিক করে তোলার এবং জাঁকজমক সঙ্কুচিত করার অনেক চিন্তাভাবনা ছিল ডিউকের। কিন্তু প্রাসাদের নিয়মনীতির রক্ষক যারা ছিলেন তাদের অব্যাহত বিরোধিতায় তিনি ক্রমশ উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।
জীবন সঙ্গী হিসেবে রানিকে তার কাজে সহযোগিতা করলেও বিশেষ কিছু কাজের ব্যাপারে প্রিন্স ফিলিপের বিশেষ আগ্রহ ছিল। পরিবেশ ও তরুণদের জন্যে অনেক কাজ করেছেন তিনি। স্পষ্টভাষী হিসেবেও পরিচিতি ছিল প্রিন্স ফিলিপের।
এই দীর্ঘ সময় ধরে রানি ও ব্রিটিশ রাজ পরিবারের প্রতি একনিষ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য তিনি যথেষ্ট শ্রদ্ধাও অর্জন করেন।
রাজ পরিবারের নানা আনন্দ উৎসব আর কঠিন চ্যালেঞ্জের সময় তিনি সবসময় ছিলেন রানির পাশে। নিজের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে তিনি একবার বলেছিলেন, তার কাছে যেটা সবচেয়ে ভাল মনে হয়েছে তিনি সেই কাজটাই করেছেন।
তিনি বলেন, কেউ কেউ মনে করেন ঠিক আছে, আবার কেউ ভাবেন ঠিক হয়নি- তো আপনি কি করতে পারেন! আমি যেভাবে কাজ করি সেটাতো আমি হঠাৎ করে বদলাতে পারি না। এটা আমার স্টাইলেরই একটা অংশ।
ডিউক অফ এডিনবার্গের জন্ম গ্রিসের রাজ পরিবারে ১৯২১ সালের ১০ জুন। গ্র্রিসের কর্ফু দ্বীপ যেখানে তার জন্ম, সেখানে তার জন্ম-সনদে অবশ্য তারিখ নথিভুক্ত আছে ২৮ মে ১৯২১। এর কারণ গ্রিস তখনও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করেনি।
তার বাবা ছিলেন গ্রিসের প্রিন্স অ্যান্ড্রু আর মা ব্যাটেনবার্গের প্রিন্সেস অ্যালিস। সন্তানদের মধ্যে তিনিই ছিলেন একমাত্র ছেলে। খুবই আদরে কেটেছে তার শিশুকাল।
তার জন্মের এক বছর পর ১৯২২ সালে এক অভ্যুত্থানের পর বিপ্লবী এক আদালতের রায়ে প্রিন্স ফিলিপের পিতার পরিবারকে গ্রিসের ওই দ্বীপ থেকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। পরে একটি জাহাজে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ফ্রান্সে।
সেখানে লেখাপড়া শুরু করার পর সাত বছর বয়সে তিনি ইংল্যান্ডে মাউন্টব্যাটেন পরিবারে তার আত্মীয়স্বজনদের কাছে চলে আসেন এবং এরপর তার স্কুল জীবন কাটে ইংল্যান্ডে।
এসময় তার মা মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে রাখা হয় এবং তখন কিশোর ফিলিপকে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হতো না। এরপর প্রিন্স ফিলিপ তার লেখাপড়া শেষ করেন জার্মানি ও স্কটল্যান্ডে।
রানির জীবন সঙ্গী হলেও ফিলিপের কোনো সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিল না। কিন্তু রাজ পরিবারের এতো ঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ তিনি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। রানির আদেশেই ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে একসময় তিনি হয়ে ওঠেন দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- পাপীদের হাতে যখন রাষ্ট্র ছিল, সেসময় রাষ্ট্রের উন্নয়ন হয়নি
- আমরা তৃনমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে একত্রে সংগঠন চালাতে চাই
- মাদারীপুরে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত
- শিবচরে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২
- আবাসিক হোটেলে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ২৫
- পুলিশের ধাওয়ায় ককটেল ভর্তি বালতি রেখে পালিয়ে গেলো দুষ্কৃতীরা
- মাদারীপুরে চোরাই মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক
- শিবচরে ৩ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরিমানা
- রাজৈরে ভ্রাম্যমান আদালতে হোটেল মালিককে জরিমানা
- প্রধানমন্ত্রী সবার কথা ভাবেন বলে দেশ আজ উন্নত - শাজাহান খান
- নেই ডাক্তার-নার্স-টেকনোলজিস্ট রাজৈরে হাসপাতাল সিলগালা ও জরিমানা
- ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- মাদারীপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলো ২৯ জন
- নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ে কমিটি
- মাদারীপুরে জাতীয় পাট দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
- ৯৬ জনকে নিয়োগ দেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড
- বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেই স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি
- প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠনের পরেই গ্রামকে শহরে পরিণত করার কাজ করছে
- এস আলম চিনিকলে ৫৪ ঘণ্টা পরও নেভেনি আগুন
- অসত্য কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় না- শাজাহান খান এমপি
- মাদারীপুরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কুল ব্যাংকিং
- রমজানের আগে নবীজি যে দোয়া বেশি বেশি পড়তেন
- জবি ছাত্রী আত্মহত্যা: সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি, ছাত্রকে বহিষ্কার
- দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি নিহত
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- একজন মুসলিম যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন
- কান্না থামাতে মুখ চেপে ধরলে মারা যায় শিশু নুসরাত
- গাজার শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মাইক্রোবাসসহ গ্রেপ্তার ৬
- শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আস্থার প্রতিফলন: চীফ হুইপ