• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

দেশে বসে বিদেশে পছন্দের চাকরি, অ্যাপ আসছে বাংলাদেশে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২০  

শিগগিরই বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ‘সমা’ স্টার্টআপ। এটি চালু হলে বাংলাদেশে বসেই বিদেশে নিজেদের পছন্দমতো চাকরি খুঁজে নেয়ার সুযোগ মিলবে চাকরিপ্রত্যাশীদের। 

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি শুক্রবার ‘সমা’ স্টার্টআপ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, যে শ্রেণির মানুষেরা বিদেশে চাকরি নিয়ে যাওয়ার আগে ঋণের বোঝায় দিশেহারা হয়ে পড়েন, তাদের পাশে দাঁড়াতে সমা (Sama) স্টার্টআপ বাংলাদেশেও কাজ করবে। 

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের নিবন্ধন নেয়ার জন্য আবেদন করছে প্রতিষ্ঠানটি। সিঙ্গাপুরে এখন সাড়ে তিন লাখের বেশি প্রবাসী শ্রমিক কাজ করেন। যাদের অধিকাংশ বাংলাদেশ এবং ভারতের নাগরিক।

এতে আরো বলা হয়েছে, এসব শ্রমিকেরা সিঙ্গাপুরে পা রাখার আগেই ঋণের কবলে পড়েন। তাদের প্রথম কয়েক মাস, এমনকি কখনো সেই ঋণ শোধ করতে বছরও লেগে যায়।

সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী, কোনো কর্মীর কাছ থেকে কর্মসংস্থান এজেন্টরা দুই মাসের বেশি বেতন নিতে পারেন না। কিন্তু অন্য দেশে সিঙ্গাপুর এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই কর্মীদের চাকরি নিয়ে দেশটিতে যাওয়ার পরেও নিজ দেশের এজেন্টদের মাসের পর মাস অর্থ প্রদান করতে হয়।

গত এপ্রিলে এই সমস্যা থেকে শ্রমিকদের মুক্তি দিতে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ‘সমা’ স্টার্টআপের যাত্রা শুরু হয়। এখান থেকে কর্মীরা নিজেদের পছন্দমতো চাকরি খুঁজে নিতে পারেন। এজন্য সর্বোচ্চ দুই মাসের বেতন দিতে হয় তাদের। চাকরি প্রত্যাশীরা কোম্পানিটির হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করে সব কাগজপত্র জমা দিতে পারেন।

‘সমা’ স্টার্টআপের সহপ্রতিষ্ঠাতা নেমানজা গ্রুজিক এবং কীর্তন প্যাটেল জানান, তারা কোম্পানিগুলোর থেকে ‘ফি’ নেয়। যেখানে শ্রমিকেরা কাজ করছেন, তাদের বুঝিয়ে এ বিষয়ে রাজি করান। কিন্তু অন্যরা শ্রমিকদের থেকে ‘ফি’ নেয়। এতে তাদের ওপর চাপ পড়ে।

কীর্তন প্যাটেল বলছেন, আমরা বিশ্বাস করি শ্রমিকেরা ঋণের চিন্তা বাদ দিয়ে কাজ করলে বেশি আউটপুট দিতে পারেন।

‘সমা’ স্টার্টআপ বাংলাদেশে আনা প্রসঙ্গে নেমানজা গ্রুজিক বলেন, বিদেশি এজেন্টদের প্রতি শ্রমিকদের নির্ভরতা কমাতে আমরা বাংলাদেশ এবং ভারতে কাজ করতে যাচ্ছি। এজন্য নিবন্ধনের আবেদন করছি।

এখন পর্যন্ত ‘সমা’ স্টার্টআপে ১৫০০ জন নিবন্ধন করেছেন। এখানে শ্রমিকেরা তাদের বেতন ডিজিটাল ওয়ালেটে রাখতে পারেন। এর মাধ্যমে দেশে সরাসরি অর্থ পাঠানো যায়।