• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জানানো দরকার: হাইকোর্ট

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 

দুর্নীতি ও ঘুষ বন্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাষণ দেশের সকল স্থানে বাজানোর পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, ব্যাংক খালি হয়ে গেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে। এখন যদি বেসরকারি ব্যাংকের মত সরকারি ব্যাংক থেকেও টাকা চলে যায় তাহলে এই খাতে ধ্বস নামবে।
‘জয় বাংলা’কে জাতীয় শ্লোগান ঘোষণার মামলার শুনানিকালে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই মন্তব্য করেন।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি ১৯৭২ সালের ৫ এপ্রিল ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজের জনসভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণের অংশ বিশেষ আদালতে তুলে ধরেন। ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ইনশাল্লাহ সোনার বাংলা আবার জাগবে, যদি শোষণহীন সমাজ গড়তে পারি। তবে আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনাদের কাছে আমার আরেকটা অনুরোধ হলো যে, দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে আপনারা আন্দোলন করতে রাজি আছেন কিনা? দুর্নীতি আর ঘুষ, রাজি আছেন? হ্যাঁ, খোদা হাফেজ-জয় বাংলা।’

এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ এখন বেশি করে জনগণকে জানানো দরকার। সেজন্য ভাষণটি সকল স্থানে বেশি বেশি করে বাজানো দরকার।’ আদালত বলেন, ‘আমানত সুরক্ষা আইন করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেলে আমানতকারী ১০ কোটি টাকা রাখলে পাবেন মাত্র এক লাখ টাকা। এটা কি দুর্নীতিবাজদেরকে উৎসাহিত করতে করা হয়েছে? আদালত বলেন, ‘২০-২২জন ব্যক্তি যাদের কাছে সম্পদ রয়েছে তারা যদি দেউলিয়া হয়ে যায় তাহলে আর্থিক খাতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।’

আরো পড়ুন: পাকিস্তানে হচ্ছে না এশিয়া কাপ

অ্যাটর্নি জেনারেলকে হাইকোর্ট আরো বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংরক্ষণ করার নিয়ে ২০২০ সালে রায় দিয়েছিলো হাইকোর্ট। দশ বছর হয়ে গেলেও ওই রায় বাস্তবায়ন করা হয়নি। এখন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার পরেও যদি রায় বাস্তবায়ন না হয় তাহলে এর চেয়ে দু:খজনক আর কিছু হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় যদি ঐতিহাসিক এ রায় বাস্তবায়ন করা না হয় তাহলে কে করবে। সরকারি কর্মকর্তাদের কতভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সরকারের নীতি বাস্তবায়নে উনাদের খুব একটা আগ্রহ দেখা যায় না। এটাই হলো আমাদের দেশের আমলাতন্ত্র।’

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘জয় বাংলা’ ছিলো আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলমন্ত্র। যে শ্লোগান দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন, জীবন দিয়েছেন শহীদ হয়েছেন। বাঙালির চেতনা, বাঙালির স্বাধীনতা, বাঙালির অহংকার, বাঙালির বিশ্বজয়, বাঙালির সুখে-দু:খে আনন্দে, ভ্রাতৃত্বে জাগিয়ে তোলার শ্লোগান ‘জয় বাংলা’। এসব বিবেচনাতেই ‘জয় বাংলা’ যাতে উচ্চারিত হয় সেই মর্মে নির্দেশ হওয়া প্রয়োজন। এর আগে আদালতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন জয় বাংলাকে জাতীয় শ্লোগান করার বিষয়ে অভিমত দেন। এ সময় রিটকারী ড. বশির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।