• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

দুদকের ‘ভুয়া কমিশনার’ গ্রেফতার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৩ আগস্ট ২০২০  

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘ভুয়া কমিশনার’ পরিচয় দানের অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে দুদক। তার নাম- মো. মোছাব্বির হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

দুদক সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পায়, জনৈক এক বা একাধিক ব্যক্তি দুদকের মনোগ্রাম সংবলিত প্যাড ও একজন দুদক কমিশনারের নাম, স্বাক্ষর ও পদবি ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দুদকের ম্যাগাজিন প্রকাশের নামে বিজ্ঞাপন চেয়ে অর্থ দাবি করছে।

দুদক বিষয়টি অবহিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির গোয়েন্দা অনুবিভাগের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর তত্ত্বাবধানে দুদকের উপপরিচালক এ কে এম মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে।

টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। এই টিম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হয় যে, একাধিক প্রতারক এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ আদায় করছে।

দুদক টিম জানতে পারে, আজ প্রতারক চক্রের এক সদস্য অগ্রণী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ শাখায় এসে প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত এই টাকা উত্তোলন করবেন।

সকাল থেকেই দুদক টিমের সদস্যরা ব্যাংকটির আশপাশে ওঁৎ পেতে থাকে। প্রতারক মো. মোছাব্বির হোসেন ব্যাংকে এলেই দুদক টিম তাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ টাকা জমার বিষয়টি তুলে ধরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গ্রেফতার করে।

দুদক নিশ্চিত হয়, কমিশনের হাতে ২০১৭ সালে গ্রেফতার হওয়া প্রতারক মো. নজরুল ইসলাম নাঈমের টিমের সদস্য এই মোছাব্বির হোসেন। এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল একই জাতীয় অপরাধে মো. নজরুল ইসলাম নাঈমের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় মামলা করেছিল দুদক। ওই মামলায় রামপুরা থেকে তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। ওই মামলাটি এখনও বিচারাধীন।

এ প্রেক্ষাপটে আজ দুদকের উপপরিচালক এ কে এম মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪৬৮/৪৭১/ ৪৭৬/১০৯ ধারায় মো. নজরুল ইসলাম নাঈম ও মো. মোছাব্বিরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করেন।