• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির

দল গঠনের নামে চক্রান্তকারী নুর, সারওয়ার্দী-সিনহারা এক ছাতার নিচে!

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২০  

বিতর্কিত ডাকসু ভিপি নুর ও অবসরপ্রাপ্ত লে. জে. চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী মিলে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চান। গুঞ্জন উঠছে, এই দলের মূল উদ্দেশ্য হবে সরকারবিরোধী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে জনমনে উস্কানি দিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা। বিশেষ একটি মহলকে সুবিধা দিতে ব্যাকআপ পার্টির ভূমিকা পালন করতে চান তারা। আর এই দুই বিশৃঙ্খলাকারীদের বিদেশ থেকে পরামর্শ দিচ্ছেন দুর্নীতির কারণে বিদেশে পলাতক সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহা, পিনাকী ভট্টাচার্য, তাসনিম খলিল, একেএম ওয়াহেদুজ্জামান ও শামসুল আলমের মতো রাষ্ট্রবিরোধীরা।

কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্রের তথ্য উদঘাটিত হওয়ায় উদ্দেশ্য পূরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। শুধু পেপার-ওয়ার্কে থেমে গেছে এই চক্রান্ত। বিভিন্ন গোপন সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা ও ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে এমন তথ্য জানা গেছে।

একটি সূত্র বলছে, সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর থেকেই ভিপি নুরের সাথে গোপনে যোগাযোগ রাখতেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। বিভিন্ন সময়ে ভিপি নুরকে সরকারবিরোধী কার্যক্রমে আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা। পরবর্তীতে ভিপি নুরকে সামনে রেখে একটি রাজনৈতিক দল গঠনে একমত হন তারা। দল গঠনে নুরকে সব ধরনের আর্থিক সহায়তার বিষয়েও আশ্বাস দেন সারওয়ার্দী। নতুন দল গঠন করে সরকারকে চাপে রাখা ও বিএনপির হয়ে কাজ করার বিষয়গুলোর পরামর্শ পেতে সারওয়ার্দী যোগাযোগ করেন এসকে সিনহা, পিনাকী ভট্টাচার্য, তাসনিম খলিল, একেএম ওয়াহেদুজ্জামান ও শামসুল আলমের মতো পলাতক ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতি, কথিত সাংবাদিক ও আত্মসীকৃত মানবাধিকার কর্মীদের সাথে। তারা ব্যাকহ্যান্ডে থেকে ভিপি নুর ও সারওয়ার্দীকে আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তা পেতে সহায়তা করারও আশ্বাস দেন। এই গ্রুপটির কাজ হবে সরকারের সমালোচনা করা, নানা ইস্যুতে সরকারবিরোধী উস্কানি দেয়া এবং সরকার উৎখাতের প্রেক্ষাপট রচনা করা। মূলত অযোগ্যতা ও বিতর্কের কারণে সেনাপ্রধান হতে না পারার আক্ষেপ থেকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার পাঁয়তারায় মেতেছেন সারওয়ার্দী। এজন্য অপরাধ সঙ্গীদের একছাতার নিচে নিয়ে এসেছেন তিনি। যার কারণে দেশ, সরকার, সেনাবাহিনী ও দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে সারওয়ার্দীর বিতর্কিত মন্তব্যকে সত্য প্রমাণে প্রাণপণ উঠেপড়ে লেগেছেন।

এই বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভিপি নুরকে সামনে রেখে মূলত ভিন্ন নামে সরকারবিরোধী একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম গঠন করে তারেক রহমানের নির্দেশনা পালন করার চেষ্টা করেছেন সারওয়ার্দীরা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলে বিএনপি ও কয়েকটি রাষ্ট্র-দাতা সংস্থাকে লাভবান করতে এই চক্রটি গোপনে ষড়যন্ত্র করে আসছে। দেশে প্রতিনিয়ত চক্রান্তকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষ কোন দল বা মহলের প্রলোভনে পড়ে এরা দেশবিক্রির ষড়যন্ত্রে মেতে উঠছে। অসৎ উদ্দেশ্য থাকায় এরা ভালো-মন্দ বুঝতে পারছে না। এরা লোভী ও প্রতারক। তবে অতিউৎসাহী হওয়ার কারণে তাদের এই দীর্ঘমেয়াদী চক্রান্ত সফল হবে না বলেও প্রতীয়মান হচ্ছে।