• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

তারেকের হাত ধরেই অন্ধকার জগতে পা রাখেন পাপিয়া!

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বহুল আলোচিত নরসিংদী জেলার যুবনেত্রী সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়াকে গত শনিবার র‌্যাব বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে আদালতে তোলা হলে তার ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে যে, গ্রেপ্তারের পর পাপিয়ার মোবাইল ফোনগুলো জব্দ করেছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। সেই সূত্র ধরেই নিশ্চিত হওয়া গেছে ২০০১ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মাধ্যমেই অন্ধকার জগতে পা রেখেছিলেন পাপিয়া।

সূত্র বলছে, তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাথে ১৯৯৯ সাল থেকেই এক ক্লাবে পরিচয় হয় শামিমা নূর পাপিয়ার। সেখান থেকেই মামুনের হাত ধরে শামিমা নূর পাপিয়ার তারেক রহমানের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। হাওয়া ভবনে প্রায়শই তারেকের সাথে রাত্রিযাপন করতেন এই পাপিয়া পিউ।

জানা যায়, মোবাইল ফোনগুলোতে পাপিয়ার অনেক ভিআইপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের তথ্য পেয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। বিশেষ করে অতীত জীবনে তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাথে সখ্যতার বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারেক রহমানের মিশন বাস্তবায়ন করার জন্যই এই পাপিয়াকে সুকৌশলে যুব মহিলা লীগে প্রবেশ করায় বিএনপি। মোবাইলে ১১ জন বিএনপির শীর্ষ নেতার সাথে যোগাযোগ হয় এমন মোবাইল নাম্বার পাওয়া গেছে। এই মোবাইল নাম্বারে পাপিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির নেতাদের সাথে কথা বলেছেন।

এছাড়াও পাপিয়ার মোবাইলে ৩৩ জন বিএনপিপন্থী স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর সাথে যোগাযোগ রাখার একটি তালিকা পাওয়া গেছে। এই ৩৩ জন বিএনপি-জামায়াতের ব্যবসায়ীর সঙ্গে পাপিয়া নিয়মিত যোগাযোগ করতো। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শনিবার যখন তাকে বিমানবন্দরে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা (র‌্যাব) আটক করে তখনও পাপিয়া নিজেকে বাঁচানোর জন্য তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তাদেরকে এটাও বলেছিলেন, আমি তারেক এর লোক তোরা জানিস?

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, র‌্যাবের অমনমনীয় দৃঢ়তার মুখে শেষ পর্যন্ত পাপিয়া নমনীয় হন এবং তারপর তিনি তার অপরাধগুলো স্বীকার করতে থাকেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, এই কল লিস্ট মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে আনা হয়েছে। এই ১৫ দিনের রিমান্ডে যাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ, যাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন, তাদের ব্যাপারে তথ্য বের করবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।