• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির শুভেচ্ছা দূত হলেন তামিম

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২০  

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য বিষয়ক সহযোগিতা সংস্থা ডব্লিউএফপি’র শুভেচ্ছদূত মনোনিত হলেন টাইগার ওয়ানডে দলপতি তামিম ইকবাল। ১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্থাটি তামিমের নাম প্রকাশ করে।

জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক এই সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মনোনিত হওয়ার পর ব্যক্ত করা এক প্রতিক্রিয়ায় দেশ সেরা এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বা ওয়ার্ড ফুড প্রোগ্রামের জাতীয় শুভ্চ্ছোদূত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আমি সম্মানিত। জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বাংলাদেসহ বিশ্বব্যাপী ক্ষুধামুক্তির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে।’

তামিম ইকবালের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আরো দুই টাইগার সদস্য জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মনোনিত হয়েছেন। ‘ক্যাপ্টেন কুল’ মাশরাফি বিন মুর্তজা ইউএনডিপি’র (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসুচি) ও সাকিব আল হাসান ইউনিসেফ’র (জাতিসংঘ শিশু তহবিল) শুভেচ্ছাদূতের পদ অংলকৃত করেছেন।

গত মার্চে টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর করোনাক্রান্তির মধ্যে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে আলোচনার তুঙ্গে উঠে এসেছেন তামিম। করোনাকালে দেশের দুস্থ জনসাধারণ ও খেলোয়াড়দের জন্য তামিম ইকবাল কী কী করেছেন তা বোধ হয় নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। বরং যদি বলা হয় কী করেননি? সেটাই অধিক যুক্তিযুক্ত হবে।

করোনাভাইরাস এদেশে প্রাদুর্ভাব ছড়ানোর রুখতে শুরু থেকেই নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন দেশ সেরা এই রান সংগ্রাহক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি দিয়ে গেছেন আর্থিক সহযোগিতা। কখনোবা অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন খাদ্য সহযোগিতা দিয়ে।

দেশে করোনার আবির্ভাবের শুরুতে ২৭ ক্রিকেটারের বেতনের অর্ধেক দান করার যে প্রক্রিয়া তার উদ্যোক্তা ছিলেন তামিম। জুনিয়র অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনাজয়ী সামিউল ইসলাম অর্থাভাবে যখন চরম বিপদে এগিয়ে গিয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ঢাকার মোহাম্মদপুরের ‘একজন বাংলাদেশ নামে পরিচিতি পাওয়া নাফিসা খানের মাধ্যমেও অনেক পরিবারকে খাদ্য সরবরাহ করেছেন তামিম। করোনা মোকাবিলায় ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) তহবিল গঠনের কমিটিতেও কাজ করছেন তিনি। এরপর অর্থ সহায়তা দিলেন ৯১ অসচ্ছ্বল ক্রিকেটারদের। জাতীয় দলের সতীর্থ নাজমুল ইসলাম অপুর সঙ্গে জুটি গড়ে খাবার ও অর্থ সহযোগিতা দিয়েছেন নারায়নগঞ্জের মানুষকে। জেলাটির দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদেরও করেছেন আর্থিক সহযোগিতা।

সবশেষ গত শুক্রবার খুলনা জেলার সাবেক অধিনায়ক কাজী রিয়াজুল ইসলাম কাজলের অকাল প্রয়াণের খবর পেয়ে উদ্যোগী হয়ে জাতীয় দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে গড়া তহবিল থেকে দিয়েছেন আর্থিক সহযোগিতা।