• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ঘুরে আসুন মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০১৯  

মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-
মেহেন্দিগঞ্জে শত বছরের উলানিয়া জমিদার বাড়ি ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয় বাকলা তথা চন্দ্রদ্বীপের এই অঞ্চলটা এককালের পূর্তুগীজ-আরাকন-ফিরিঙ্গী-বর্গী-মগ জলদস্যুদের অভয়ারন্য ছিল। বিভিন্ন সময় এসব জলদস্যুদের মুঘল সেনাপতি শাহাবাজ খাঁ, আগা মেহেদী প্রমুখ তাদের পরাক্রমশালী সেনাবাহিনী নিয়ে অভিযান চালায়। এই অঞ্চলের পূর্ববর্তী নাম শাহাবাজপুর এবং বর্তমান নাম মেহেন্দিগঞ্জ তাদের স্মৃতি এবং বিজয় স্মারক। ধারাবাহিকতায় উত্তর শাহাবাজপুর তথা আজকের মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা অঞ্চলে অবস্থান নেয়া হার্মাদ-মগ-বর্গী দস্যুদের বিতাড়িত করতে মুঘলদের স্থাপিত সংগ্রাম কেল্লায় (সম্ভবত আগা মেহেদীর সময়ে স্থাপিতঃ বর্তমান ভোলা জেলার অর্ন্তগত রামদাসপুর গ্রামে অবস্থিত সংগ্রাম কেল্লাটি আঠার শতকের মাঝামাঝি সময়ে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়) অবস্থান করেণ শায়েস্তা খাঁর বিশ্বস্ত সেনাপতি শেখ মোহাম্মদ হানিফ। তিনি স্থানীয়দের সহযোতিায় তার সৈনিকদের নিয়ে হার্মাদ-মগ-বর্গীদের আক্রমন করেন। পরপর আক্রমনে এসব দস্যুরা চিরতরে নিস্তেজ হয়ে যায়। বীরত্বের পুরস্কার স্বরূপ শায়েস্ত খাঁ শেখ মুহাম্মদ হানিফকে সংগ্রাম কেল্লা এবং অঞ্চলের সুবেদার নিয়োগ করেন। শেখ হানিফ সংগ্রাম কেল্লা থেকে একটু দূরে সরে কালিগঞ্জের কাছাকাছি উলুবন আবাদ করে বসতি স্থাপন করে। এই উলুবনই পরবর্তীতে উলানিয়া নামে প্রসিদ্ধ হয়।

বসতির চৌদিকে নলের হাওলি বা নলের প্রাচীর দিয়ে বাউন্ডারি দেয় হয়। ফলত এখনো উলানিয়া জমিদারের নলের হাওলি কথাটা লোক কথা প্রচলিত আছে।

শেখ মুহাম্মদ হানিফের এই বসতি থেকে একটু সামনে সরে তার পরবর্তী প্রজন্ম তাজমহল সদৃশ্য মসজিদ স্থাপন করেন।

যা তার পরের প্রজন্মে বারান্দ এবং পুকুরের একপারজোড়া ঘাটলা ইত্যাদি নির্মানে আরো নান্দনিক হয়ে ওঠে। একই সাথে শেখ মুহাম্মদ হানিফের নলের হাওলির স্থানেও ইট-সুরকির সুবিশাল প্রাচীর গড়ে ওঠে।

যতদূর জানা যায় উলানিয়া জমিদার বাড়ির তিন কামরা বেষ্টিত মূল ভবনটা শেখ হানিফের সময়েই নির্মিত। সামনে সু-বিশাল দিঘী, বাড়ির পিছনদিকে এবং পাশে বেশ কয়েকটা পুকুর, শানে বাঁধানো ঘাট। মূল বাড়ির পাশে কাচারি বাড়ির সামনে ডাকবাংলা মূল বাড়িতে ঢুকতে দ্বীতল প্রবেশ পথ। সবমিলিয়ে এই বাড়িটা ঘিরে এই অঞ্চলে প্রচলিত আছে নানান রকম কিংবদন্তী লোককথা। স্থাপনাটি বর্তমান সরকার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংরক্ষনের ঘোষনা দিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবী সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারের এই ঘোষনা বাস্তবায়ন করে প্রাচীন এই ঐতিহ্য সমুন্নত রাখা হোক।