• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

গর্ভাবস্থায় যে কারণে চিংড়ি মাছ খাওয়া নিরাপদ নয়!

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২০  

গর্ভাবস্থায় প্রত্যেক মাকেই নিজের প্রতি একটু বেশি যত্নবান হতে হয়। এই সময় ইচ্ছে হলেই তারা সবকিছু খেতে পারেন না। ডাক্তার বা বাড়ির বড়রাও এই সময়ে অনেক খাবার খেতে নিষেধ করেন। কারণ এমন কিছু খাবার আছে যা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর, আবার কিছু খাবার গর্ভবতীর জনই ক্ষতিকর।

তাই দেখা যায় এই সময়ে গর্ভবতী মাকে তার অনেক পছন্দের খাবার খাওয়া থেকেই বিরত থাকতে হয়। এমনই একটি প্রিয় খাবার হলো চিংড়ি মাছ। তবে কিছু ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় চিংড়ি মাছ খাওয়া গেলেও তা পরিমাণে অল্প। আসুন জেনে নেয়া যাক কী কী কারণে গর্ভাবস্থায় চিংড়ি মাছ খাওয়া নিরাপদ নয়- 

> গর্ভাবস্থায় শুধু চিংড়ি নয়, অন্য সব সামুদ্রিক মাছও খেতে বারণ করা হয়। এর প্রধান কারণ হল, অত্যধিক দূষণ। সামুদ্রিক মাছ হওয়ায় চিংড়ি দূষিত পানিতেই বেড়ে ওঠে ও দূষিত পদার্থই খেয়ে থাকে। এরকম চিংড়ি গর্ভাবস্থায় খাওয়া ক্ষতিকর। বিশেষ করে ভালো করে রান্না না করা চিংড়ি বা আধাসিদ্ধ চিংড়ি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

> চিংড়ি থেকে অনেকেরই মারাত্মক এলার্জি হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অন্য সময় চিংড়ি খেয়ে কোনো সমস্যা না হলেও গর্ভাবস্থায় এলার্জির আক্রমণ হয়। আর এই এলার্জি খুবই মারাত্মক এবং মা ও বাচ্চা দুজনেরই প্রচণ্ড ক্ষতি করতে পারে।

> সামুদ্রিক মাছে মার্কারির পরিমাণ বেশি থাকে। খুব বেশি পরিমাণে এই চিংড়ি বা অন্য কোনো সামুদ্রিক মাছ খেলে গর্ভস্থ বাচ্চার স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

> নদী থেকে ধরা চিংড়িতেও প্রচুর ক্ষতিকর পদার্থ থাকে, যা গর্ভস্থ বাচ্চার শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

> কাঁচা চিংড়ি বা আধাসিদ্ধ চিংড়ি খেলে ফুড পয়েজনিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভাবস্থায় পেটের সমস্যা মাকে নাজেহাল করে দিতে পারে। ঠিকমতো রান্না না হলে সামুদ্রিক মাছে থাকা বিভিন্ন পরজীবি বা প্যারাসাইট নষ্ট হয় না এবং শরীরের ক্ষতি করে।

> চিংড়িতে কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেশি। যেসব হবু মায়ের কোলেস্টেরল বেশি, তাদের চিংড়ি না খাওয়াই ভালো।