• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

গণশৌচাগারে বাস করা সেই পরিবার পেলো মুজিববর্ষের ঘর

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২১  

ফরিদপুরের বোয়ালমারীর গণশৌচাগারে বাস করা সেই শাহাদাত-নার্গিস দম্পতি অবশেষে ঘর পেলো। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপর সোমবার সকাল ১১টায় বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ গণশৌচাগারে বাস করা শাহাদাত দম্পতির সাথে দেখা করে তাদের মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার 'ঘর' দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এছাড়া কথোপকথনের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানতে পারেন অন্যের নিকট থেকে শাহাদাতের ২০ হাজার টাকার ঋণ নেয়া আছে। তিনি ঋণের ওই টাকাও পরিশোধের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সম্প্রতি তাদের (শাহাদাত দম্পতি) সম্পর্কে জেনেছি। তাদের ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য নির্মিতব্য আশ্রয়ণ প্রকল্পে তাদের একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেব। বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুরে এই প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। এ সময় শাহাদাত তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘হাসিনা অনেক বছর বাঁচুক। তার জন্যই ঘর পাইছি।’ ইউএনও স্যার ঘরের ব্যবস্থা করেছে।'

উল্লেখ্য, শাহাদাতের পৈতৃক বাড়ি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলায় ছিলো। জন্মের সময় মাকে এবং ৬ বছর বয়সে বাবাকে হারান। পৈতৃক সম্পত্তি ছিলো না, তাই দারিদ্র্যতার কষাঘাতে এবং জীবিকার তাগিদে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আসেন। এরপর কাগজ কুড়িয়ে জীবন চালান। পরবর্তীতে বোয়ালমারী পৌরসভার মেয়র মোজাফফর হোসেন বাবলু মিয়া মাস্টার রোলে দৈনিক ১৬০ টাকা বেতনে বাজার ঝাড়ুদারের চাকরি দেন এবং বোয়ালমারী হেলিপোর্টে সরকারি জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেন। এক পর্যায়ে ঠাঁই মেলে বোয়ালমারীর টিনপট্টিতে অবস্থিত এক গণশৌচাগারে।