‘কেউ খাবে কেউ খাবে না, এই নীতি বিশ্বাস করি না’
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
‘নিজে সম্পদশালী হবো, ব্র্যান্ড পরবো, হাইফাই সোসাইটি দেখবো। আর আমার গ্রামের মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে, এই নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না। জাতির পিতা এটা বিশ্বাস করতেন না, আমিও এটা বিশ্বাস করি না’—বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ শেষে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এবং উত্তরের মেয়র হিসেবে মো. আতিকুল ইসলাম আতিককে শপথ বাক্য পাঠ করান।
এরপর স্থানীয় সরকার পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম দুই সিটি করপোরেশনের সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা এত অল্প সময়ের মধ্যে এত কাজ করে গেছেন, যেটা ভাবলে অবাক লাগে। আমি জানি না, পৃথিবীর আর কোনো দেশের নেতার এত দ্রুত একটা বিধস্ত দেশকে গড়ে তুলতে পেরেছিলেন কি না? তার এই নেতৃত্বের ফলে এবং প্রশাসনিক দক্ষতার ফলে বাংলাদেশ অল্প সময়ের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিল।’
১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার ঘটনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নের কাজ শুরু করি। যার শুভ ফল দেশবাসী পেতে শুরু করে।’
পরবর্তী কালে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে টানা তিন মেয়াদে সরকার প্রধান হিসাবে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যার ফলে দেশের উন্নয়নের কাজগুলি আমরা ধারাবাহিকভাবে করতে সক্ষম হচ্ছি। আজকের বাংলাদেশ মাত্র এক দশকের মধ্যে প্রবৃদ্ধি আট দশমিক ১৫ ভাগে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে দরিদ্র্যের সীমা ছিল ৪১ ভাগ (২০০৫-০৬ অর্থব বছরে) আজকে তা ২০ দশমিক পাঁচ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।’
আজকে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের গতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন বিস্ময় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন সরকার গঠন করেছি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। কিন্তু সেই মন্দার প্রভাব আমরা বাংলাদেশে পড়তে দেয়নি। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করে আর্থিক দিক থেকে শুরু করে সবদিক থেকে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের টানা মেয়াদে নিজস্ব অর্থায়নে বাজেট বৃদ্ধির সক্ষমতা অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আগে অন্যের কাছে আমাদের হাত পাততে হত। এখন আর বাংলাদেশকে কারও কাছে হাত পেতে চলতে হয় না। এখন আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে এটা সক্ষমতা অর্জন করেছি। কিন্তু এই গতিধারা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।’
বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে দেশের উন্নয়নে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণসহ দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন উন্নয়ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে আমরা দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলবো, সেই প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ইতোমধ্যে আমরা প্রণয়ন করেছি এবং অনুমোদন দিয়েছি।’
এসময় শত বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি একটু আরও আগে যেতে চেয়েছি। আমি তো থাকব না। কিন্তু দেশটা যেন এগিয়ে চলতে পারে। সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে দিয়ে যাচ্ছি। কারণ সরকার আসবে, সরকার যাবে। কিন্তু ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়, উন্নয়নের কাজগুলি আবার থমকে যায়, যেটা হয়েছিল ১৯৯৬ পর্যন্ত ২০০১ পর্যন্ত যতগুলি কাজ আমরা করে গিয়েছিলাম তার সবগুলি কিন্তু থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের টানা মেয়াদে বিদ্যুৎখাতের উন্নয়নের ফলে তৃণমূলের মানুষের জীবনযাপনের চিত্র পরিবর্তন হয়েছে সেকথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মানুষের যে আর্থিক স্বচ্ছলতা গ্রামগঞ্জে, যেটা আমাদের লক্ষ্য ছিল। যার জন্য জাতির পিতা সারাজীবন সংগ্রাম করছেন। আমরা সেই লক্ষ্যটাই অর্জন করতে যাচ্ছি।’
‘অর্থাৎ কেউ খাবে কেউ খাবে না, সেটা হবে না। এখানে সকল মানুষের অধিকার আছে। সুন্দরভাবে বাঁচার উন্নত জীবন পাওয়ার, সেজন্য আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা, সমস্ত অর্থবরাদ্দ। আমরা একেবারে প্রথমে গ্রামের দিকে দৃষ্টি দেই। যেকারণে প্রত্যেকটা গ্রামের মানুষ যেন নগরের উন্নয়নটা পায়, নগরের ছোঁয়াটা পায়, নাগরিক জীবনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পরিকল্পনা নিচ্ছি’—বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
মার্চ থেকে থেকে মুজিববর্ষ উদযাপনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি, কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। যেখানে যত ভূমিহীন মানুষ আছে, তাদের আমরা যেটুকু পারি ঘর-বাড়ি করে দেওয়া হবে।’
এছাড়া যেখানে সেখানে শিল্প কলকারখানা গড়ে না তুলে ফসলী জমি রক্ষা করে নগরায়ন করার দিকে সরকার নজর দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি শহরের বস্তিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যমত বাসস্থান করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- পাপীদের হাতে যখন রাষ্ট্র ছিল, সেসময় রাষ্ট্রের উন্নয়ন হয়নি
- আমরা তৃনমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে একত্রে সংগঠন চালাতে চাই
- মাদারীপুরে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত
- শিবচরে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২
- আবাসিক হোটেলে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ২৫
- পুলিশের ধাওয়ায় ককটেল ভর্তি বালতি রেখে পালিয়ে গেলো দুষ্কৃতীরা
- মাদারীপুরে চোরাই মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক
- শিবচরে ৩ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরিমানা
- রাজৈরে ভ্রাম্যমান আদালতে হোটেল মালিককে জরিমানা
- প্রধানমন্ত্রী সবার কথা ভাবেন বলে দেশ আজ উন্নত - শাজাহান খান
- নেই ডাক্তার-নার্স-টেকনোলজিস্ট রাজৈরে হাসপাতাল সিলগালা ও জরিমানা
- ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- মাদারীপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলো ২৯ জন
- নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ে কমিটি
- মাদারীপুরে জাতীয় পাট দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
- ৯৬ জনকে নিয়োগ দেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড
- বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেই স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি
- প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠনের পরেই গ্রামকে শহরে পরিণত করার কাজ করছে
- এস আলম চিনিকলে ৫৪ ঘণ্টা পরও নেভেনি আগুন
- অসত্য কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় না- শাজাহান খান এমপি
- মাদারীপুরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কুল ব্যাংকিং
- রমজানের আগে নবীজি যে দোয়া বেশি বেশি পড়তেন
- জবি ছাত্রী আত্মহত্যা: সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি, ছাত্রকে বহিষ্কার
- দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি নিহত
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- একজন মুসলিম যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন
- কান্না থামাতে মুখ চেপে ধরলে মারা যায় শিশু নুসরাত
- গাজার শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মাইক্রোবাসসহ গ্রেপ্তার ৬
- শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আস্থার প্রতিফলন: চীফ হুইপ