• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

কুড়িয়ে পাওয়া চিঠিতে খুলে গেল ঢাকার ৪৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা কলেজ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৫ জুন ২০২১  

একটি চিঠি কত কিছু বদলে দিতে পারে তা অনেক সময় ধারণাও করা যায় না। ঢাকার ধামরাইয়ে এমনই এক ঘটনা ঘটলো। পুরনো একটা চিঠির হাত ধরেই খুললো ৪৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা কলেজ। নতুন আলো পেল সূয়াপুরের জনপদ।

ধামরাইয়ের সূয়াপুরে একটি কলেজ ছিল তা বর্তমানে অনেকেরই জানা ছিল না। সম্ভবত ১৯৭৪ সালে কলেজটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন কারণে। তবে কেন বন্ধ হয়েছিল এর কোন সঠিক কারণ বলতে পারেনি কেউ।

যে চিঠিতে কলেজটি খুলে গেল সেটি ১৯৭৪ সালের ৯ জুনের। সেদিন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দাওয়াত পত্র দেয়া হয়েছিল নান্নার ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠাকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল হাই ফেরাজীকে। গণ্যমান্য হিসেবে অনেকে সেই মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহন করেছিলেন।

৪৬ বছর পর গত বছরের অক্টোরব মাসে আকস্মিকভাবে সেই চিঠি কুড়িয়ে পান রহুম আবদুল হাই ফেরাজীর ছেলে ধামরাই আফাজ উদ্দিন স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন টিপু। এরপর থেকে শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। ওই মাসেই দাওয়াতপত্রটি ফেসবুকে পোস্ট করার পরই এলাকার উচ্চ শিক্ষিত ও সরকারের উচ্চপর্যায়ে অধিষ্ঠিত কৃতি সন্তানদের নজরে আসে।

এরপরই সবাই একত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েন কলেজটি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। অভিন্ন অভিপ্রায়ে ইতিবাচক মনোভাবে প্রাণপন চেষ্টা করেন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরি ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ রক্ষা করেন। ২৬ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে ২০২১-২০২২ সেশনে সূয়াপুর নান্নার স্কুল ও কলেজ একাদশ শ্রেণিতে ১৫টি বিষয়ে পাঠদানের নিমিত্তে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন পায়।

এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব ড.শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড.মো. সাইদুর রহমান সেলিম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম মোহাম্মদ মইনুদ্দিন মিয়া, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ (পাবনা ক্যাডেট কলেজ) মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন , অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন (আফাজ উদ্দিন স্কুল ও কলেজ), মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (মনোহরদী, নরসিংদী) মো. শহিদুর রহমান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাবসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পর্যায়ক্রমে কয়েকটি সভা করেন কলেজটি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। 

সূয়াপুর নান্নার স্কুল অ্যন্ড কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব বলেন, আশেপাশে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ও উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে এতদিন কোনো কলেজ ছিল না। তবে এবার থেকে সবাই এখানেই পড়াশোনা করতে পারবে। এটি এই অঞ্চলের জন্য বিরাট সুখবর।