• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

কারাগারেই মৃত্যু ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকার মোসলেমের

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার রাজাকার কমান্ডার মোহাম্মদ মোসলেম প্রধান অসুস্থ অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গেছেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তার লাশ নিকলীর গ্রামের বাড়িতে আনা হয়।

এদিকে, তার জানাজার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে শুক্রবার গভীর রাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে স্বল্পপরিসরে জানাজা শেষে মোসলেমের মরদেহ দাফন করা হয়।

পুলিশ, বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর বন্দি মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাজাকার  মোসলেমের বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে কারাগারের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেলে আশংকাজনক অবস্থায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোসলেমের মরদেহ গাজীপুর থেকে তার গ্রামের বাড়ি নিকলী উপজেলা সদরের কামারহাটি গ্রামে আনা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার সকালে জানাজা হবে বলে মাইকিং করা হয়। এতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিকলী মাদরাসার সামনে সীমিত পরিসরে জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

হত্যা, অপহরণ, আটক, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অপরাধে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল মানবতা বিরোধী অপরাধে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল রাজাকার কমান্ডার মুসলেম ও সৈয়দ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

২০১৫ সালের ৬ জুলাই গভীর রাতে কামারহাটি গ্রাম থেকে রাজাকার মোসলেম প্রদানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর  পর থেকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ ছিলেন।

২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর মোসলেম ও সৈয়দ হোসেনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৬ সালের ৯ মে ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। মোসলেমের সহযোগী রাজাকার সৈয়দ হোসেন বর্তমানে পলাতক আছেন।