কর্মসংস্থান তৈরি ও দারিদ্র্য দূর করবে জাকাত
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২০
ইসলামের মৌলিক ৫ স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম একটি ফরজ ইবাদত জাকাত। নির্ধারিত নিসাবের মালিক ধনী মুসলিমের ওপর নামাজ, রোজা ও হজের মতো এটিও অবশ্য পালনীয়। কিন্তু বর্তমান সমাজের চিত্র হলো এই, আমরা নামাজ, রোজা ঠিকই আদায় করছি, কিন্তু জাকাত আদায়ের ব্যাপারে উদাসীন। অথচ প্রতিবছর একবার জাকাত আদায় করতে হয়।
আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের ৩২ স্থানে জাকাত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নামাজের নির্দেশের পরপরই ২৮ জায়গায় জাকাত আদায়ের নির্দেশ এসেছে। এ নির্দেশনার মূল উদ্দেশ্যই হলো নামাজের মতোই জাকাত অবশ্য পালনীয় ইবাদত। আল্লাহ তাআলা একাধিক আয়াতে বলেন-
‘তোমরা নামাজ প্রতিষ্ঠা করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ৪৩)
‘তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ তাঁর রাসুল এবং মুমিনগণ- যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, জাকাত দেয় এবং বিনম্র।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৫৫)
জাকাত দেয়ার সময়
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে বছর শেষে ইসলামি শরিয়ত কর্তৃক নির্ধারিত অংশ গরিব মুসলিমকে প্রদান করতে হয়। এ জাকাত দান নয় বরং এটি ধনীর সম্পদে গরিবের অধিকার।
বর্তমান সমাজের অর্থব্যবস্থার একটি লক্ষ্যণীয় দিক হলো-
একদিকে মুষ্টিমেয় মানুষের কাছে অধিক সম্পদ রক্ষিত; আবার অন্যদিকে বেশিরভাগ মানুষ মিলে ভোগ করছে সামান্য সম্পদ। অর্থাৎ ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে আর গরীব আরও নিস্ব হচ্ছে।
জাকাতভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা
ইসালামের ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু করার পর সেখানে জাকাতভিত্তিক অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত মানবিক রাষ্ট্রে রূপ নেয় মদিনা মুনাওয়ারা।
ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু জাকাত আদায়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘যারা একটি উটের রশি পরিমাণ সম্পদও জাকাত দিতে অস্বীকার করবে; তাদের বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।’ (বুখারি) খলিফার এ ঘোষণার মর্মার্থই ছিল, গরিবের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সম্পদ জমা করে রাখা পুঁজিপতির ব্যাপারে ইসলামের কঠোর অবস্থান কেমন হবে, তা সুস্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া।
জাকাত না দেয়ার পরিণাম
জাকাত মানে পবিত্রতা, শুদ্ধি ও বৃদ্ধি পাওয়া। জাকাত আদায়ের মাধ্যমে ব্যক্তির অবশিষ্ট সম্পদ পবিত্র হয়ে যায়। সম্পদের বরকত বেড়ে যায়। শারীরিক ইবাদতের মধ্যে যেমন নামাজ শ্রেষ্ঠ; তেমনই আর্থিক ইবাদতের মধ্য জাকাত সর্বাধিক শ্রেষ্ঠ। জাকাত আদায় না করার শাস্তি বা পরিণাম খুবই ভয়াবহ। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! পণ্ডিত ও সংসারবিরাগীদের অনেকে লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। আর যারা স্বর্ণ ও রুপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আজাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে পোড়ানো হবে আর (সেদিন বলা হবে) এগুলো (সেই সম্পদ) যা তোমরা নিজেদের জন্যে জমা রেখেছিলে। সুতরাং এখন জমা করে রাখা সম্পদের স্বাদ গ্রহণ কর।’ (সুরা তাওবাহ : আয়াত ৩৫)
জাকাতের বিধান দেয়ার কারণ
ধনী-গরিবের সমতা আনতে ইসলামে জাকাতের সুন্দর বিধান প্রদান করা হয়েছে। সমাজের মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে সব সম্পদ যাতে জমা হতে না পারে। সমাজের সব মানুষের মধ্যে একটা সমতা যাতে আসে। এ কারণেও জাকাতের ভূমিকা অপরিসীম।
অধ্যাপক বেনহাম ভালো রাষ্ট্রের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, ‘যে রাষ্ট্র ব্যাপকভাবে জনগণের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, তা-ই কল্যাণ রাষ্ট্র।’
আর সামাজিক নিরাপত্তা বলতে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের ন্যূনতম অর্থনৈতিক প্রয়োজন পূরণের নিশ্চয়তাকেই বোঝায়। আর তাই জনগণের কল্যাণের কথা ভেবে ইসলামে জাকাত ব্যবস্থার বিকল্প নেই। জাকাতভিত্তিক রাষ্ট্র চালু হলে সুদভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা দূর হবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশের অধিকাংশ ধনী জাকাত দেয় না। জাকাত দিলেও সঠিক হিসাব করে প্রকৃত ব্যক্তিকেও দেয় না। আর যারা জাকাত দেয়; তাদের অধিকাংশই লোক দেখানো প্রচার সর্বস্ব দান করে।
কুরআনুল কারিমের ঘোষণা মতে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জাকাত আদায় এবং বণ্টনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা জরুরি। কিন্তু কোনো রাষ্ট্র যদি ইসলামি রাষ্ট্র না হয়, তাহলে সেখানকার জাকাতদাতারা নিজ উদ্যোগে তার উদ্বৃত্ত সম্পদের হিসাব করে জাকাত দিতে হবে।
জাকাত যেভাবে দিতে হয়
জাকাত এমনভাবে দেয়া উচিত যেন জাকাত পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি দ্রুতই স্বাবলম্বী হয়ে যেতে পারে। প্রতিবছর যেন এক ব্যক্তিকে জাকাত দিতে না হয়। আর জাকাত গ্রহণকারী ব্যক্তিও যেন আর জাকাত গ্রহণ না করে। ন্যূনতম ২-৩ বছরের মধ্যে যেন স্বাবলম্বী হয়ে নিজেও জাকাত দিতে সক্ষম হয়ে উঠতে পারেন।
আমাদের দেশে দেখা যায়, অনেক সম্পদশালী লোক দেখানোর জন্য হাজার হাজর মানুষ জড়ো করে কম দামি লুঙ্গি আর মানহীন শাড়ি দিয়ে বিদায় করেন। অথচ এতো লোক জড়ো না করে প্রতিবছর নির্ধারিত সংখ্যক লোককে বড় অঙ্কের মূলধন দিলে; তারা নিজেরাও তার মাধ্যমে অল্প দিনেই স্বাবলম্বী হতে পারতেন। আর জাকাতের এ অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বপ্রথম নিকটাত্মীয়দের প্রাধান্য দেয়া উত্তম।
মনে রাখা জরুরি
জাকাত দেয়ার সময় আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, আমার সম্পদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের ওপর গরিবের অধিকার রয়েছে। আমি কেবল সেই অধিকারটি পালন করছি। বিষয়টি এমন, জাকাতদাতা হচ্ছেন দেনাদার আর গ্রহীতা হচ্ছেন পাওনাদার। পাওনাদারকে যেভাবে সম্মানের সঙ্গে সময়মতো অর্থ পরিশোধ করতে হয়, ঠিক তেমনিভাবেই জাকাতের অর্থও হকদারকে পরিশোধ করতে হবে। আবার কর্মঠ গরিবদের আত্ম-কর্মসংস্থানে সহায়তা করে স্বাবলম্বী করার জন্য জাকাতের অর্থ ব্যয় করার মাধ্যমেই দারিদ্র্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে।
দ্বীনের প্রচার-প্রসার ও দ্বীনি শিক্ষার বিস্তারেও জাকাতের অর্থ ব্যয় করা যায়। যথার্থ কারণে ঋণগ্রস্ত এবং ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়লে, তাদের ঋণমুক্তির জন্যও জাকাতের অর্থ দিয়ে সাহায্য করা যাবে।
মুসাফির যদি আর্থিক অসুবিধায় পড়েন, তবে তাকে জাকাতের অর্থ দিয়ে সাহায্য করা যাবে, যদিও তার বাড়ির অবস্থা ভালো থাকে।
- প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করত
- বরিশালে ২০ জেলে ও ২ নৌযান আটক
- গৌরনদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা
- সারাদেশে ইন্টারনেটের ধীর গতি
- ইস্টার্ন ব্যাংকে নারী-পুরুষ নিয়োগ, চাকরির ধরন ফুল টাইম
- কমলো হজের খরচ
- হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ শুরু
- প্রাথমিক শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলি আবেদনের সুযোগ
- চেন্নাইয়ের হার ঠেকাতে পারলেন না মুস্তাফিজ-পাথিরানা
- তীব্র তাপপ্রবাহে প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ
- বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার সব বিধিনিষেধ তুলে নিলো কুয়েত
- ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিন ধর্ষকের হাতে স্ত্রীকে তুলে দিলেন স্বামী
- শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে
- বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- রুমা সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলি, আতঙ্ক
- শান্তিচুক্তির অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরল বাংলাদেশ
- আরও তিন দিন থাকবে তাপপ্রবাহ, কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস
- বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি কমাতে ভুটানের প্রতি অনুরোধ
- মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকরা: জাতিসংঘ
- পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
- সারা দেশে হিট অ্যালার্ট জারি
- হজের আগে ওমরাহকারীদের ফেরার তারিখ জানাল সৌদি
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল বিজয়ী
- বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি
- শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী
- স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে
- আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন মহাবিপদে: ওবায়দুল কাদের
- ড্রোন হামলার কথা অস্বীকার করলো ইরান, তদন্ত চলছে
- বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- শিবচরে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- মাদারীপুরে চোরাই মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে ব্যাগভর্তি ককটেলসহ একজন আটক
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- কালকিনিতে হাতবোমা বানাতে গিয়ে নিহত ১
- অসত্য কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় না- শাজাহান খান এমপি
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশন চালুর চিন্তা
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ