• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

কর্ণফুলী টানেলে বিস্ময়কর কাজের গতি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০১৯  


পুরোদমে এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ কর্ণফুলী টানেলের (বঙ্গবন্ধু টানেল) নির্মাণ কাজ। টানেলের পাশাপাশি অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজও চলছে সমান তালে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘ এ টানেলটি। এরই মধ্যে টানেলের ৪৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। টানেলের প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ চৌধুুরী বলেন, দ্রুতগতিতেই চলছে টানেল নির্মাণের কাজ। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৪৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) প্রকল্প মেয়াদের মধ্যেই কাজ সমাপ্ত করতে পারবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এ টানেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে টানেলের কাজ করতে সবাই কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে দুটি টিউব বসানোর কাজ চলছে। এরই মধ্যে ২ হাজার ৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্য টিউবের মধ্যে ৬২০ মিটার কাজ শেষ হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম ও পূর্বপ্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়ক ও ওভারব্রিজ তৈরির কাজও চলছে দ্রুতগতিতে। টানেলের পূর্ব প্রান্তে তৈরি হচ্ছে ২০০ মিটার ওপেন কাট, ১৯৫ মিটার কাট অ্যান্ড কভার, ৫৫০ মিটার অ্যাপ্রোচ রোড এবং ২৫ মিটার ওয়ার্কিং শ্যাফট। টানেলের পশ্চিম প্রান্তে চলছে ওপেন কাট, কাট অ্যান্ড কভার, অ্যাপ্রোচ রোড এবং ওয়ার্কিং শ্যাফট নির্মাণের কাজ। এ ছাড়া অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের কাজও চলছে দ্রুত গতিতে। টানেলের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শ্রমিকরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘ওয়ান সিটি টু টাউনের’ আদলে চট্টগ্রাম নগরী ও আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করার জন্য কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর টানেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে চীন অর্থায়ন করছে সিংহভাগ অর্থ। টানেলটি নেভাল একাডেমির পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে আনোয়ার চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল) এলাকায় গিয়ে শেষ হবে। টানেলটির কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক চিত্র। চট্টগ্রাম শহর সম্প্রসারণ হবে আনোয়ারা পর্যন্ত। বৃদ্ধি পাবে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা। আনোয়ারা উপজেলায় গড়ে উঠবে ভারী শিল্প কারখানা। যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। চাপ কমবে নগরীর যান চলাচলের।