• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

করোনার চতুর্থ স্তরের দিকে যাচ্ছে দেশ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২০  

চীনের উহান থেকে মহামারি করোনা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর দিন দিন এর সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে বুধবার দুপুরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। এ ছাড়া নতুন করে আরও ৫৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। এর ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১৮ জনে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এখন সংক্রমণ পরিস্থিতির ক্রান্তিকাল। দেশ সংক্রমণের তৃতীয় স্তর থেকে চতুর্থ স্তরের দিকে যাচ্ছে-এটা বলা যায়। রোগ সংক্রমণের চতুর্থ স্তরে পৌঁছানোর অর্থ হলো- করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবে বহু মানুষ, বহু মানুষকে হাসপাতালে যেতে হবে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও এর ব্যাপকতার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের দেশগুলোকে চারটি স্তরে ভাগ করেছে। একজনেরও সংক্রমণ শনাক্ত না হওয়া দেশ স্তর-১-এ। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তি শনাক্ত হওয়া ও তাদের মাধ্যমে দু-একজনের সংক্রমণ, স্তর-২। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় সংক্রমণ সীমিত থাকলে তা স্তর-৩। আর স্তর-৪ হলো সংক্রমণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সংক্রমণের তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। সেদিন তিনি বলেন, রাজধানীর টোলারবাগ ও বাসাবো, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর (শিবচর) ও গাইবান্ধা (সাদুল্লাপুর)-এই পাঁচটি এলাকায় গুচ্ছ আকারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া জামালপুর, চট্টগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, কুমিল্লা, কক্সবাজার, গাজীপুর, মৌলভীবাজার, নরসিংদী, রংপুর, শরীয়তপুর ও সিলেটে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে।