করোনা সম্পর্কে ডা. এবিএম আবদুল্লাহর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২০
করোনাভাইরাস কী?
করোনাভাইরাস আসলে একটি ভাইরাসের গোত্র বা পরিবারের নাম। এই পরিবারের মধ্যে ছয়টি ভাইরাস আগে থেকেই রয়েছে এবং নতুন করোনাভাইরাস অর্থাৎ কোভিড-১৯ সহ করোনাভাইরাস পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা এখন সাত। যাদের মধ্যে চারটি ভাইরাসের লক্ষণ সাধারণ সর্দি কাশির মতোই। তবে মার্স এবং সার্চ সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছিল।
কোভিড-১৯ কী? আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ কী?
নতুন করোনাভাইরাস দিয়ে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করা হয়েছে কোভিড-১৯। সর্বপ্রথম ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহানে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত মার্স এবং সার্চ মতো প্রাণঘাতী নয়।
অন্যান্য ভাইরাস জ্বরের মতোই কোভিড-১৯ এর শুরুর দিকে লক্ষণগুলো হলো জ্বর, ক্লান্তি ভাব, শুষ্ক কাশি। এছাড়া শরীর ব্যথা, নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা-ব্যথা, পাতলা পায়খানাও থাকতে পারে। সময়ের সঙ্গে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে তীব্রতা বাড়ে এবং মৃদু থেকে তীব্র শ্বাস কষ্ট দেখা যায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরও কোনো রকম লক্ষণ প্রকাশ পায় না বা মৃদু লক্ষণ থাকতে পারে।
করোনাভাইরাস, ফ্লু বা সাধারণ সর্দি-কাশির তফাৎ কী?
করোনাভাইরাস আর সাধারণ ফ্লু বা সাধারণ সর্দি-কাশির উপসর্গগুলোর মধ্যে বেশ কিছু মিল রয়েছে। কোভিড-১৯ এর প্রধান উপসর্গ জ্বর, কাশি। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু হলে গলা ব্যথার মতো উপসর্গও থাকে। আবার নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে, যা ফ্লুতে দেখা যায় না। ফলে পরীক্ষা না করে কোভিড-১৯ আছে কিনা তা বোঝা মুশকিল।
এই ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়?
করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কণার মধ্যে এই ভাইরাসটি থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে তিন ফুটের মধ্যে কেউ থাকলে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। বাতাসে এই ভাইরাসটি ছড়ায় না, বরং শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত কণার মাধ্যমে ছড়ায়। কণাটি ভারি হওয়ায় এটি বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে না, তাই এটি মাটি, মেঝে বা অন্য কোনো বস্তুর ওপর পড়ে এবং দীর্ঘ সময় জীবিত থাকতে পারে। সেখান থেকে স্পর্শের মাধ্যমে অন্য কারোর করোনা সংক্রমণ হতে পারে।
সংক্রমণের ঝুঁকি কাদের বেশি?
করোনাভাইরাস সংক্রমণ যে কারোর হতে পারে। তবে ইমিউনিটি সিস্টেম যাদের দুর্বল বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি বিকল, হৃদরোগী, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন যারা, বিশেষ করে বৃদ্ধরা সাধারণত মারাত্মক করোনা ঝুঁকিতে থাকেন। ধূমপায়ী পুরুষদের মধ্যে এই ভাইরাসের মারাত্মক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। ধূমপানের ফলে শ্বাসনালী ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কিছুটা কম থাকে বিধায় এরা শ্বাসনালী ও ফুসফুসকে আক্রমণ করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা দানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি।
শিশুরা কতটা ঝুঁকিতে?
যেকোনো বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। শিশুদের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সাধারণত কমই হয়ে থাকে। আক্রান্ত বাবা-মা বা পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে এবং বারবার তাদের সংস্পর্শে এলে শিশুদের ঝুঁকি বাড়ে। তবে শিশুদের মধ্যে যাদের অ্যাজমা রয়েছে বা অন্য কোনো জন্মগত বা দীর্ঘমেয়াদি রোগ আছে, তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।
কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস? ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি কি পরিপূর্ণ সুস্থ হতে পারেন?
শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
আশার কথা, করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৮০ শতাংশ রোগীই ভালো হয়ে যায়, এমনকি কোনো চিকিৎসা না নিলেও অথবা ঘরে বসে সর্দি-জ্বরের মতো চিকিৎসা নিলেও। এ ভাইরাসে আক্রান্ত মাত্র ২০ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং ২/৩ শতাংশকে আইসিইউতে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। যাঁদের রোগের প্রকোপ কম, তাঁদের সুস্থ হতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
তাপমাত্রার সঙ্গে করোনার বিস্তারের সম্পর্ক আছে কি?
তাপমাত্রার সঙ্গে করোনার সম্পর্ক নেই। প্রথম দিকে ধারণা করা হতো, শীতপ্রধান দেশে এর বিস্তার বেশি, তবে দেখা যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে সব দেশেই এই ভাইরাসের বিস্তার বাড়ছে। মূলত ৭০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় এই ভাইরাস টিকতে পারে না, বাস্তবে এত তাপমাত্রা কোনো দেশেই নেই।
হাত থেকে কিভাবে নভেল করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে? কেন বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া গুরুত্বপূর্ণ?
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সময় মুখে হাত দিলে বা কফ-থুথু হাতে লেগে গেলে, ওই হাত দিয়ে যা কিছু ধরা হবে যেমন- টেবিল, চেয়ার, দরজার হাতল, কিবোর্ড ইত্যাদিতে ভাইরাস থেকে যেতে পারে এবং এগুলো যে কেউ স্পর্শ করলে সেখানে থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। যেকোনো বস্তুর ওপরে এ ভাইরাস বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। আর সে কারণে ঝুঁকি এড়াতে ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়ার বিকল্প নেই।
চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ না করার পরামর্শ দেওয়া হয় কেন?
আক্রান্ত ব্যক্তি মাস্ক ছাড়া হাঁচি-কাশি দিলে ভাইরাস বেরিয়ে মেঝে, চেয়ার বা টেবিলসহ নির্জীব জিনিসে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো ৪৮ ঘণ্টার মতো বেঁচে থাকতে পারে। তখন অন্য কেউ সেই জিনিসগুলোকে স্পর্শ করে সেই হাত দিয়ে তার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করলে জীবাণুগুলি দেহে প্রবেশ করে ওই ব্যক্তিটিকে সংক্রামিত করতে পারে। এজন্য হাত না ধুঁয়ে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়।
আক্রান্ত মা কি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন?
বুকের দুধের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর কোনো তথ্য বা প্রমাণ এখনো নেই। তবে আক্রান্ত মা অবশ্যই দুধ-খাওয়ানোর সময় মাস্ক পরবেন, ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ও স্তন্য ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা-কোলে থাকা অবস্থায় হাঁচি-কাশি দিবেন না।
করোনায় নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা হতে পারে। নিউমোনিয়ার ভ্যাক্সিন নেওয়া থাকলেও কি করোনা সংক্রমণ হতে পারে?
করোনায় নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা হলেও নতুন এই করোনাভাইরাসের বিপরীতে নিউমোনিয়ার ভ্যাক্সিন যেমন নিউমোকক্কাল ভ্যাক্সিন বা হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ ‘বি’ এর ভ্যাক্সিন কাউকে সুরক্ষা দেবে না। তবে কেউ আগে থেকে এই ভ্যাক্সিন নিয়ে থাকলে তা তার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।
স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে কী করতে হবে? কোয়ারেন্টাইনে থাকলে কি করোনার ভয় থাকে না?
যেসব দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে, সেই সব দেশ থেকে আগতদের সবারই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা উচিত। কোয়ারেন্টাইন মানে হলো, এই ১৪ দিন তিনি নিজে ঘরের বাইরে যাবেন না, আবার বাড়িতে অন্য কারো সঙ্গে মিশবেন না। ঘরে অবস্থানকালে পরিবারের অন্যদের সংস্পর্শও এড়িয়ে চলতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা রোগীর খাবার ঘরের দরজার বাইরে রেখে আসতে হবে, কেউ ভেতরে ঢুকবে না। ঘরের বাইরের অন্য কোনো প্রয়োজন দেখা দিলে নিজে না গিয়ে কারো সহায়তা নেওয়াই ভালো। ঘরে পোষা প্রাণী থাকলে তাদের সংস্পর্শে না যাওয়াই ভালো। এক কথায় নিজে নিজেকেই অন্যদের থেকে পৃথক করে রাখা। এতে পরিবারের বা সমাজের অন্যরা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে না। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় যদি কারোর জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি করোনার মতো লক্ষণ উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে আইইডিসিআর-এর হটলাইনে যোগাযোগ করার নির্দেশনা রয়েছে।
কখন পরীক্ষা-নীরিক্ষা করাতে হবে?
বিদেশ থেকে আগত বা তার সংস্পর্শে থাকা কারো যদি জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাদের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা প্রয়োজন। তাই যাদের রোগের লক্ষণ নেই তাদের পরীক্ষা করার কোনো প্রয়োজন নেই। এতে রোগ শনাক্ত হবে না।
করোনা মানেই কি মৃত্যু?
করোনা মানেই মৃত্যু নয়। বরং সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে, আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে শিশুসহ সবাই ক্রমশ সুস্থ হয়ে ওঠে। এজন্য দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত। ভালো হবে প্রতিদিন সুষম খাবার, টাটকা শাকসব্জি ও ফলমুল খেতে পারলে। এছাড়াও নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। ধূমপান ও মদ্যপান একদম নয়।
সকলের কি মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে?
সুস্থ সাধারণ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ এই ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না, বরং তা হাঁচি কাশি এবং জীবাণুযুক্ত হাতের স্পর্শে বেশি বেশি ছাড়ায়। তাই গণহারে, রাস্তাঘাটে ঢালাও মাস্ক পরে চলাফেরার কোনো যুক্তিই নাই। বরং আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যকে রক্ষার জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক পরবেন, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ বা নাক থেকে ভাইরাস বা জীবাণু অন্য মানুষের ছড়িয়ে না পড়ে। পাশাপাশি আক্রান্ত বা কোয়ান্টাইনে রাখা রোগীদের সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্সসহ অনান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
তাছাড়া বিদেশ ফেরত যাদেরকে বাড়িতে নিজেদের কোয়ারান্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা এবং তাদের সেবাদানকারী পরিবারের লোকজন এবং আশেপাশের লোকজন শুধুমাত্র একই ঘরে থাকার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে শুধু মাস্ক পরলেই হবে না, সেই সঙ্গে কিছু নিয়মও মানতে হবে। যেমন কিছুক্ষণ পর পর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোঁয়া অব্যাহত রাখতে হবে, নিয়মিত মাস্ক পরিবর্তন করতে হবে, ব্যবহারের পর মাস্ক যেখানে সেখানে না ফেলে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ফেলতে হবে এবং পরবর্তীতে তা পুড়িয়ে ফেলা ভালো।
কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
১. আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে টিস্যু ব্যবহার করবেন এবং সেই টিস্যু পুড়িয়ে ফেলতে হবে, যাতে সেখান থেকে ভাইরাস না ছড়ায়। কেউ যদি রুমাল ব্যবহার করেন, তাহলে সেই রুমাল ও হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিবেন। ভালোভাবে হাত না ধুলে সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াবে। তাই সব সময় সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাত ধুয়ে নেবেন অথবা চাইলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যায়। হাতের কাছে কিছু না থাকলে কনুইয়ের ভাজে নাক-মুখ ঢাকতে হবে। ২. অপরিষ্কার হাতে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করবেন না। ৩. বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তারপর অন্য কিছু ধরবেন। কারণ এই হাত দিয়ে যা কিছু ধরা হবে সেখানেই ভাইরাস থেকে যেতে পারে। টেবিল, চেয়ার, দরজার হাতল, কিবোর্ডে ভাইরাস থেকে যেতে পারে। সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই এগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে। ৪. খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাওয়া দরকার। ডিম পোচ করে না খেয়ে ভালোভাবে ভাজি করে খাওয়া উচিত। ফলমূল ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে, কোনো সবজি দিয়ে সালাদ করার আগে সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ৫. অনেকের গৃহপালিত পশু-পাখি থাকে। কোনো পশু-পাখি অসুস্থ হয়ে পড়লে বা রোগাক্রান্ত মনে হলে সেটিকে সরিয়ে নিতে হবে। সেই প্রাণীকে কেউ স্পর্শ করলে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ৬. কুশল বিনিময়ের ক্ষেত্রে করমর্দন, কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। ৭. জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। যথাসম্ভব ঘরে বা বাড়িতে থাকুন, খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো।
করোনাভাইরাস নিয়ে ভয় পাবেন না, আতঙ্কিত হবেন না। ভয়ের পরিবর্তে মানুষ যদি অধিকতর সচেতন থাকে, তাহলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা কঠিন কিছু নয়। এই ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে সংক্রমণের সুযোগ যদি না পায়, তাহলে তা ছড়াবে না। আবার দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করা গেলে ব্যবস্থাপনা কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়। নতুন এই করোনাভাইরাসের জন্য এখনো কোনো টিকা বা চিকিৎসা উদ্ভাবন না হলেও আনুষঙ্গিক অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব।
লেখক : মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ইউজিসি অধ্যাপক, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে ব্যাগভর্তি ককটেলসহ একজন আটক
- মাদারীপুরে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষের জীবন
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- কালকিনিতে হাতবোমা বানাতে গিয়ে নিহত ১
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশন চালুর চিন্তা
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- কালকিনিতে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা
- মাসব্যাপী ঈদ উপহার বিতরণ করবে সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত