• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

করোনা মোকাবেলায় চীনকে মাস্ক-গ্লাভস দিল বাংলাদেশ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চীনকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সামগ্রী দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশে তৈরি এসব সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- হ্যান্ড গ্লাভস, ফেস মাস্ক, মাথার ক্যাপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সু কভার এবং গাউন। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এর কাছে এসব উপকরণ তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- ১০ লাখ হ্যান্ড গ্লাভস, ৫ লাখ ফেস মাস্ক, দেড় লাখ মাথার ক্যাপ, হ্যান্ড সেনিটাইজার ১ লাখ, সু কাভার ৫০ হাজার এবং ৮ হাজার গাউন। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চীন সরকারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, চীনের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বন্ধুত্বের জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এসব সামগ্রী পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এখন যেসব সামগ্রী তুলে দিচ্ছি; যার সবগুলোই বাংলাদেশে তৈরি। 

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চীন থেকে বাংলাদেশে যেসব শিক্ষার্থী এসেছেন তারা সবাই সুস্থ আছেন এবং বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি পাওয়া যায়নি। 
চিকিৎসা সামগ্রীর জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি, তার উদারতার জন্য আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এটা ঠিক যে, আমরা সাময়িক দুরাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। তবে যৌথ উদ্যোগে এর বিস্তৃতি আমরা ঠেকাতে পারবো। 

‘ইতোমধ্যে আমরা ৫০০ করোনা টেস্টিং কিট দিয়েছি বাংলাদেশ সরকারকে। যেন তারা দ্রুত করোনা শনাক্ত করতে পারে। পাশাপশি চীনে যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আছেন আমরা তাদের পূর্ণ দেখভাল করছি। বাংলাদেশ হয়তো তাদের নিরাপত্তার জন্য চীন থেকে অন্য শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে না। তবে তারা ফিরিয়ে নিতে চাইলে আমরা সব ধরনের সহায়তা করবো।’ 

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চীন ভালো করছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে তারা যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। সেখানে এখনো যেসব বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করছে চীন সরকার। 

‘আমরা আমাদের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কিছু চিকিৎসা সামগ্রী সেখানে পাঠাচ্ছি। আমি এটা ভেবে খুবই উৎফুল্ল যে, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আমাদের সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে,’ যোগ করেন তিনি।