• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

করোনা: বিশেষ গাইডলাইনে চলবে দুদকের কার্যক্রম

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২০  

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি শেষে রোববার (৩১ মে) খুলছে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তবে করোনার মতো ভাইরাস মোকাবিলার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বিভিন্ন কৌশল ও বিশেষ গাইডলাইন অনুসরণ করছে সংস্থাটি।  যদিও সাধারণ ছুটির মধ্যেও ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব ছিল দুদক।

দুদকের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্ধারিত গাইডলাইন অনুসরণ করতে লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে রোস্টারিং সিস্টেম অনুসরণ করার পরিকল্পনা করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।  এর পাশাপাশি যতটা সম্ভব ডিজিটাল পদ্ধতিতে চালাবে অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজ।  থাকছে জীবাণুমুক্তকরণ টানেল স্থাপনসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা।

চূড়ান্ত গাইডলাইন তৈরি করতে কমিশন থেকে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন, সংস্থাপন ও অর্থ) মো. জহির রায়হানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি ভিজিলেন্স টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে কমিশনের অনুমোদনক্রমে গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক মো. জহির রায়হান বলেন, আমরা একটি গাউডলাইন তৈরি করছি।  ডব্লিউএইচও’র স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে।  যাতে আমাদের কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।  চূড়ান্ত সিস্টেম অনুসরণ করে দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ জেলা পর্যায়ের অফিসগুলো চলবে।  গাইডলাইনের খসড়া তৈরি হচ্ছে। কমিশনের নির্দেশনা অনুসরণ করে আমরা কাজ এগিয়ে নেবো।

তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে ভিজিলেন্স টিমের আওতায় বিভাগ অনুযায়ী আরও কয়েকটি সাব-কমিটি ও উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।  যারা স্ব স্ব বিভাগের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়মিত কাজ করবে।  প্রতিদিনই নতুন নতুন আইডিয়া যোগ হচ্ছে। সবগুলোকে একত্রিত করে চূড়ান্ত হবে এ গাইডলাইন।

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না শর্তে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা  বলেন, করোনার মতো নেতিবাচক পরিস্থিতিতে প্রকৃত অর্থে দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা কঠিন।  তবে দুদকের কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়ে সবার আগে বিবেচনা করতে হবে। এ মুহূর্তে খুব জরুরি না হলে দুদক থেকে যেকোনো অভিযান কিংবা স্ব-শরীরে মুভমেন্ট করা হচ্ছে না।  বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ জনগণের দুদক কার্যালয়ে প্রবেশের সুযোগ আপাতত রাখা হচ্ছে না। সাংবাদিকদের যতটুকু সম্ভব প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত রাখা হচ্ছে। আপাতত পরিবেশ ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

গত ২০ মে গঠিত সাত সদস্যের ভিজিলেন্স টিমের অপর সদস্যরা হলেন- পরিচালক (পর্যবেক্ষণ ও বিশারদ) মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) শেখ মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, উপ-পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. মাসুদুর রহমান, ডা. অনুপ কুমার বিশ্বাস ও সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য (পরিচালক) বলেন, দুদক স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপাতত সীমিত আকারে অফিস পরিচালনা করবে।  তাছাড়া আমাদের কার্যক্রম সব সময়ই চলমান আছে।  তবে ডিজিটাল পদ্ধতি বেশি অনুসরণ করছি আমরা।