• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

ওসি প্রদীপ কুমার পুলিশ হেফাজতে, নেওয়া হচ্ছে কক্সবাজার

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৬ আগস্ট ২০২০  

ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রহরায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ওসি প্রদীপ প্রধান আসামি। ওই ঘটনার পর তাকে কক্সবাজার থানা থেকে প্রত্যাহার করে চট্গ্রামে ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘সে হয়তো চট্টগ্রাম আসছিল। এখন হয়তো আবার কক্সবাজারে যাচ্ছে। তাকে গ্রেফতারের খবরটি আমার জানা নেই।’

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমিও জানি না। কোনও কিছু ঘটে থাকলে তারপর বলতে পারবো।’

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রদীপ কুমার বুধবার (৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আদালতে মামলা দায়েরের পর তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে চান। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় আজ সিএমপির প্রহরায় তাকে কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সিএমপির কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ প্রদীপ কুমারকে আমাদের প্রটেকশনে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’  

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা তাকে গ্রেফতার করিনি। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থাকতে পারে।’

মামলাটির তদন্ত ভার র‍্যাবকে দেওয়ায় এরই মধ্যে নথিপত্র তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাজেই ওসি প্রদীপকে র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে।

কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক আজিম আহমেদ বলেন,  ‘ওসি প্রদীপ কুমারকে চট্টগ্রাম পুলিশ আটক করেছে শুনেছি। তাকে এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। পুলিশ হেফাজতে তাকে কক্সবাজার নিয়ে আসা হচ্ছে। ধারণা করছি তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কেননা তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত আমরা (র‌্যাব) করছি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  ‘আমরা গ্রেফতার করিনি তাই নিশ্চিত হয়ে বলতে পারছি না তাকে কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাকি সে থানায় নিজে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে সেটিও নিশ্চিত নই।’

তবে সিএমপির একটি সূত্র জানিয়েছে, ওসি প্রদীপ বৃহস্পতিবার পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। সেখান থেকে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন ও নিরাপত্তা বিভাগ। একইভাবে তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলাটির শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে তা ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে আমলে নিতে টেকনাফ থানাকে আদেশ দেন আদালতের বিচারক। আদালতের নির্দেশে টেকনাফ থানায় মামলাটি রুজু হয়। দণ্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় ওসি প্রদীপ ছাড়াও বাকি আসামিরা হলেন বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল, কনস্টেবল মোস্তফা। তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আগেভাগে ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে গেলেও বাকিরা পুলিশ লাইনেই রয়েছে।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ থানায় মামলাটি রুজু করা হয়। মামলা নম্বর সিআর: ৯৪/২০২০ইং/টেকনাফ।