• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

এসএসসি ও সমমানে ৫ হাজার পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০  

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারাদেশে ৫ হাজারের কিছু বেশি পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।  নতুন করে ৮০৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) পুনঃনিরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে সারাদেশে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭১ জন পরীক্ষার্থী চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষা বোর্ডগুলোতে আবেদন করে।  এ কারণে বিভিন্ন বিষয়ের উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের জন্য মোট ৪ লাখ ৮১ হাজার ২২২টি বিষয়ের ফলে আপত্তি তোলা হয়।

তার মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৬০টি, বরিশালে ২৩ হাজার ৮৫০টি, চট্টগ্রামে ৫২ হাজার ২৪৬টি, দিনাজপুরে ৪০ হাজার ৭৫টি, রাজশাহীতে ৪৪ হাজার ৬১টি, সিলেটে ২৩ হাজার ৭৯০টি, কুমিল্লা বোর্ডে ৩৯ হাজার ৩০৩টি, ময়মনসিংহে ৩১ হাজার ৩৩১টি, মাদরাসা বোর্ডে ২৮ হাজার ৪৮৪ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৭ হাজার ৫৩৮টি বিষয়ে খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য আবেদন করেছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড

ফলাফলে দেখা গেছে, পুনঃনিরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ১০৫ জন শিক্ষার্থী।  আর নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৯৯ জন পরীক্ষার্থী।  এ বোর্ডে মোট ২ হাজার ২৪৩ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড

দিনাজপুর বোর্ডে মোট জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে ৩৬৭ জনের, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০ জন।  ফেল থেকে পাস করেছে ৩৫ জন।  আর ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন পরীক্ষার্থী।

সিলেট শিক্ষা বোর্ড

সিলেট বোর্ডের ১৬৫ জন পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। তার মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ২৩ জন শিক্ষার্থী।  আর নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ জন পরীক্ষার্থী।

ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড

ময়মনসিংহ বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ৪৭ জন পরীক্ষার্থী।  এর মধ‌্যে নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩ জন।  আবেদন করে উত্তীর্ণ দুই জন পরীক্ষার্থী ফেল করেছে।  এ বোর্ডে মোট ৩৬৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড

রাজশাহী বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ৩৪ জন পরীক্ষার্থী।  নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪০ জন।  পুনঃনিরীক্ষণে ফেল করা তিন জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।  বোর্ডের ২৫২ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড

চট্টগ্রাম বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ৪১ জন শিক্ষার্থী।  নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩ জন পরীক্ষার্থী। ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন শিক্ষার্থী। আবেদন করে ৬০৯ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।

বরিশাল শিক্ষা বোর্ড

বরিশাল বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ২৫ জন পরীক্ষার্থী।  নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন।  মোট ১৩৯ জন পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ড

যশোর বোর্ডে ফল পরিবর্তন হয়েছে ১২৩ জন পরীক্ষার্থীর।  এ বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ৪৪ জন এবং নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৫ জন।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড

কুমিল্লা বোর্ডে মোট ফল পরিবর্তন হয়েছে ৪৪১ জন পরীক্ষার্থীর।  নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬১ জন, ফেল থেকে পাস করেছে ৬২ জনের।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ড

কারিগরি বোর্ডে মোট ১ হাজার ১৭১ জন পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।  তার মধ্যে ১ হাজার ১২৪ জন ফেল থেকে পাস করেছে, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড

মাদরাসা বোর্ডে জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে ৮৭ জন পরীক্ষার্থীর।  মোট ফল পরিবর্তন ২৪৩ জনের, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন, ফেল থেকে পাস করেছে ১০৫ জন।  মোট আবেদনের সংখ্যা ছিলো ২৮ হাজার ৫২২টি। আর আবেদনকারীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৪৩ জন, জিপিএ পরিবর্তন হলেও ফেল থেকে পাস ২ জন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, খাতা পুনঃমূল্যায়নের ক্ষেত্রে সবকটি উত্তরে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি-না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি-না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে (কম্পিউটারে ফল প্রণয়নে পাঠযোগ্য ফরম) উত্তোলনে ভুল হয়েছে কি-না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট ঠিক আছে কি-না এসব বিষয় পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।

তিনি বলেন, কি কারণে এ ধরনের ভুল হয়েছে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ণকারী শিক্ষকদের কাছে তার কারণ জানতে চাওয়া হবে।  যেসব শিক্ষকদের ভুল ধরা পড়ছে তাদের আগামী দুই বছর পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন থেকে বিরত রাখা হবে।  কেউ ইচ্ছে করে তার দায়িত্ব অবহেলা করেছে প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

গত ৩১ মে প্রকাশিত হয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল। এবার গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা গতবছর ছিলো ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।

এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন, যা গত বছর পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। পরীক্ষার ফলে আপত্তি থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য গত ১ জুন শুরু হয় পুনঃনিরীক্ষার আবেদন কার্যক্রম, যা ৭ জুন শেষ হয়।