• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

এবার সেনাপ্রধানের ‘স‌্যালুট’ নিয়ে মিথ‌্যাচার করছেন শামসুল আলম!

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২০  

বিএনপি-জামায়াত সরকারের মহা-দুর্নীতিবাজ সাবেক কর্মকর্তা শামসুল আলম। যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক এই ব‌্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে নানা ধরণের মিথ‌্যা প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। এর অংশ হিসেবে এবার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপক স‌্যালুট নিয়ে মিথ‌্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান এবং মেডিকেল সামগ্রী প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষে গত ২৯ মার্চ গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুদানের চেক গ্রহণ করেন। যেখানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের এক দিনের বেতন ৩০ কোটি ৭০ লাখ টাকা সরকারের তহবিলে জমা করা হয়। এসময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের হাতে চেক হস্তান্তর করে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপক স‌্যালুট দেন সেনাপ্রধান।

অথচ সেই ঘটনাকে বিতর্কিত করে শামসুল আলম তার ব‌্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে মিথ‌্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি তার একটি স্ট‌্যাটাসে লিখেছেন, করোনা মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের একদিনের বেতনের চেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসকে হস্তান্তরের পর তাকে স্যালুট দিয়েছেন সেনাপ্রধান। যা সেনাপ্রধানের আচরণ বহির্ভূত কর্মকাণ্ড।

অথচ দেশের জনপ্রিয় সব গণমাধ‌্যম‌্যের তথ‌্য বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাপ্রধান সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া চেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ‌্য সচিবের হাতে হস্তান্তর করার পর ভিডিও কনফরেন্সের মাধ‌্যমে যুক্ত থাকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ‌্য করে স‌্যালুট দেন। যা আনুগত‌্যের বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু জনৈক শামসুল আলম বিষয়টিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সেনাবাহিনী ও দেশের ভাবমূর্তিতে আঘাত করেছেন। যা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব‌্যবস্থা নেয়া অত‌্যন্ত জরুরি।

প্রসঙ্গত, শামসুল আলম বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি মূলত খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর অর্থ-সম্পত্তি দেখভাল করতেন এবং তার হয়ে বিভিন্ন মহলে প্রভাব খাটিয়ে চাঁদা আদায় করতেন। পরবর্তীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতা হারালে শামসুল আলম যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং সেখানে সরকারবিরোধী একটি অনলাইন সেল গড়ে তোলেন। মূলত জাহিদ এফ সরদার সাদী, মনির হায়দার, চ্যানেল ২৪- এর সাবেক সাংবাদিক শাহেদ আলম, নৈতিক স্খলনের দায়ে একুশে টিভি থেকে চাকরিচ্যুত শিবিরপন্থী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন এবং দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহাদের সমন্বয়ে এই বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা ও গুজব সেল পরিচালনা করছেন শামসুল আলম। আর এতে অর্থায়ন করছেন তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী ও বিএনপির অন্যান্য বিদেশ পলাতক নেতারা। এর অংশ হিসেবে তিনি নিজেও ব‌্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে নানা ধরণের সরকারবিরোধী বিভ্রান্তিমূলক তথ‌্য প্রচার করেন, যার কোনো ভিত্তি নেই।