• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতি : বিএনপি নেতা ফারুকসহ ৩ জন কারাগারে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৯  

 


রাজধানীর বনানীতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এফআর টাওয়ার নকশা জালিয়াতি ও ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন করে নির্মাণের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় জমির ইজারা গ্রহীতা সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুকসহ (এসএমএইচ ফারুক) তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অপর দুইজন হলেন-রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী (নান্নু) ও সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট) মুহাম্মদ শওকত আলী।

আজ (রোববার) তারা হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ৫ নভেম্বর দুদকের পৃথক তিনটি আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের তিনের বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদেরকে বিচারিক আদালতে আগামী সাত দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে এফআর টাওয়ার ১৬ থেকে ২৩তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগে মালিক, রাজউকের সাবেক দুই চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।

এক মামলার আসামিরা হলেন- এফআর টাওয়ারের মালিক এস এম এইচ আই ফারুক, কাসেম ড্রাইসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাসভীর-উল-ইসলাম, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান কে এ এম হারুন, সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম তরফদার, ভবননির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খান মুকুল, রাজউকের সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক মো. মোফাজ্জল হোসেন, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সাবেক প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. মাহবুব হোসেন সরকার, সাবেক ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী পরিচালক মেহেদউজ্জামান, নিম্নমান সহকারী মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারী মো. এনামুল হক ও বিসিএসআইআর সদস্য (অর্থ) মুহাম্মদ শওকত আলী, সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবদুল্লাহ আল বাকি, গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সৈয়দ নাজমুল হুদা এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুর রহমান।

মামলায় ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে এফআর টাওয়ারের ১৯তলা থেকে ২৩তলা নির্মাণ, বন্ধক প্রদান ও বিক্রির অভিযোগে দণ্ডবিধির সাতটি ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে ২৭ জন মারা যান, আহত হন ৭৩ জন।