• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

এগিয়ে চলছে পতেঙ্গা টার্মিনালের কাজ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২০  

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নির্মিত হচ্ছে পতেঙ্গা টার্মিনাল। এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হলে কমবে জাহাজ জট। দ্রুততর হবে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং। তবে, সম্ভাব্য বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি বিবেচনায় ব্যবসায়ীরা বন্দরের পরিধি আরও বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের তিন টার্মিনালে জেটি ১৯টি। সীমাবদ্ধতা হলো সবকটি জেটিতে একসঙ্গে জাহাজ ভেড়ানো যায় না। এখনকার সক্ষমতায় তিন টার্মিনালে কনটেইনার ও সাধারণ ক্যাটাগরির ১৬টি ভিড়তে পারে। পতেঙ্গা টার্মিনাল চালু হলে ভিড়তে পারবে আরও চারটি জাহাজ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. জাফর আলম বলেন, পতেঙ্গা টার্মিনাল নির্মাণ কার্যক্রম সেনাবাহিনী করছে এবং কিছু দিনের মধ্যেই এর সমাপ্ত ঘটবে। ২০২১ সালের জুনের পরপরই আমরা এটিকে চালু করতে পারবো। 

নতুন জেটির কার্যক্রম শুরু হলে বেশিরভাগ কন্টেইনার পরিবহন হবে বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে। একই সঙ্গে যুক্ত হবে নতুন রেলপথ।

জাফর আলম আরও বলেন, রেলওয়ে কানেকটিভিটি এই প্রকল্পের সঙ্গে ধরা আছে। এই রেলের মাধ্যমে কন্টেইনারগুলো শহরমুখী অথবা ফৌজদারহাটসহ বিভিন্ন ডিপুতে প্রেরণ করার চিন্তা-ভাবনা আছে।

ভারতের কয়েকটি রাজ্যের পণ্যও এই বন্দর দিয়ে ওঠানামা হচ্ছে। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের পরিধি আরও বাড়ানোর তাগিদ ব্যবসায়ী নেতাদের।

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, এক্সপোর্ট টার্গেটের ১৬ বিলিয়ন যদি পূর্ণ করতে চান তাহলে কিন্তু পতেঙ্গা টার্মিনাল বড় না হলেও এটা দিয়ে কিছু কভার হবে।

গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২৮ লাখ কনটেইনার ওঠানামা হয়েছে। চলতি অর্থবছরেও এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পতেঙ্গা টার্মিনাল চালু হওয়ার সম্ভাবনা আগামী জুন। তখন আরও ৫ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করার সক্ষমতা অর্জন করবে চট্টগ্রাম বন্দর।