• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

একুশে পদক মেধা ও মনন চর্চার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করবে : রাষ্ট্রপতি

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 


রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, সৃজনশীল কর্মকান্ডের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক প্রদান করে জাতির কৃতি সন্তানদের সম্মানিত করায় দেশে মেধা ও মনন চর্চার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হবে।
একুশে পদক ২০২০’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে পদক প্রাপ্তদের আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদক প্রদান করবেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ‘একুশে পদক ২০২০’ প্রাপ্ত গুণীজনদের রাষ্ট্রপতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, মুজিববর্ষের প্রাক্কালে এবারের একুশে পদক প্রদানের এ আয়োজন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। তিনি ৫২’র মহান ভাষা আন্দোলনসহ স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ সংগ্রামে অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘একুশকে জাতীয় স্মারকে পরিণত করার লক্ষ্যে দেশের যে সব কৃতী সন্তান তাঁদের মনন ও মেধার সমন্বয়ে আমাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও উন্নয়নের নানা অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছেন তাঁদের সৃজনশীল কর্মকান্ডের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক প্রদান করা হয় । প্রতি বছরের মতো এবারও যাঁরা এই সম্মান পেলেন তাঁরা নিঃসন্দেহে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে দেশে মেধা ও মনন চর্চার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হবে।’
আবদুল হামিদ বলেন, বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এ দেশের ছাত্র ও তরুণ সমাজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁরা সেদিন সমাজের বুদ্ধিজীবী ও মুক্তমনা অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়েছেন । এ বছর যাঁরা একুশে পদক পেলেন তাঁরাও সেই চেতনা বর্তমান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তাঁদের সৃষ্টিশীল অবদানের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আগামীতে এসব আলোকিত গুণীজন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে আরো উৎকর্ষের স্বাক্ষর রাখবেন বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি‘একুশে পদক ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।