• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

একসঙ্গে বেগুন ও মুলা চাষে সফল কৃষক

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২০  

ফসলের ক্ষেতে একসঙ্গে মুলা ও বেগুন চাষ করে সফল হয়েছেন ফারুক আহমেদ। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বলিদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার মতো আরো অনেকেই সবজি চাষে ঝুঁকছেন। 

তাদের সবজি চাষের কারণে বলিদাপাড়ার তামাক চাষের খ্যাতি মুছে যেতে বসেছে। কয়েক বছর আগে যেসব জমিতে তামাক চাষ হতো এখন সেখানে হচ্ছে সবজি চাষ। এ সবজি চাষে অনেকেই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। ভালো উপার্জনের পাশাপাশি সংসারে ফিরিয়ে এনেছেন স্চ্ছলতা। 

ফারুকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, তিনি বছর চারেক আগে ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে সবজি চাষ শুরু করেন। এরপর থেকে সেই জমিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সবজি চাষ করেন। এবার একবিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন সেই সঙ্গে মুলাও।
  
শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে বিক্রির জন্য স্ত্রীকে নিয়ে মুলা তুলছেন। বেগুন চাষ করে লাভবান হয়েছেন তিনি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ বছর ৩৩ শতক জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ করে এরইমধ্যে ৪০ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করেছেন। বেগুন বিক্রি শুরু করেছেন।

কৃষক ফারুক আহমেদ বলেন, আগে অন্যের জমিতে কৃষি কাজ করতাম। এরপর কৃষি অফিসারের পরামর্শে চার বছর আগে ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ শুরু করি। এখন জমিতে বেগুন রয়েছে। আবার একই জমিতে মুলা চাষও করেছি। এছাড়াও ফুলকপি রয়েছে কিছু জমিতে এবং পেঁয়াজ চাষের জন্য দেড় বিঘা জমি তৈরি করছি।

তিনি আরো বলেন, ৩৩ শতক জমিতে বেগুন চাষ করেছিলাম। ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ করে এরইমধ্যে ৪০ হাজার টাকার মুলা বিক্রি করেছি। এছাড়া ক্ষেতে যা বেগুন আছে তা বিক্রি করলে লাখ ৭০—৮০ হাজার পাওয়া যাবে। 

এ বিষয়ে মিরপুর উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার মাহিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় বিভিন্ন শাক সবজির চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষক ফারুক আহমেদ বেগুন ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে মুলা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। এছাড়াও তার ক্ষেতে অন্যান্য সবজি আছে। আমরা তাকে সার—বীজসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছি।