• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

এই সময়ে কিডনি ভালো রাখবেন যেভাবে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২০  

সুস্থ থাকার জন্য কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। কিডনি আমাদের শরীরের রক্ত নানা দূষিত পদার্থ রক্ত থেকে ছেঁকে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়। রক্ত পরিশোধন করার পাশাপাশি শরীরের পিএইচ ও পানির ভারসাম্য রক্ষা করা কিডনির অন্যতম কাজ। তাই কোনোভাবে কিডনির কাজ ব্যহত হলে শরীরে নানান বিষাক্ত পদার্থ জমে অসুস্থতা বাড়ে। কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

কিডনির অসুখের অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ আর ডায়াবেটিস। যাদের এই দুটি সমস্যা আছে তাদের বছরে এক বার রুটিন ইউরিন টেস্ট, ইউরিয়া ক্রিয়েটিনিন ও অ্যালবুমিন পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত। করোনার সময়ে রক্ত পরীক্ষা বা অন্যান্য চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হলে অবশ্যই সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেতে হবে।

ক্রনিক কিডনির অসুখ আছে কি না তা বোঝা বেশ মুশকিল। এই সমস্যার সে রকম কোনো উপসর্গ থাকে না। বারেবারে প্রস্রাবের সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অবশ্যই ইউরিন পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত। এছাড়াও এসব উপসর্গ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানাবেন।

* ক্ষুধা কমে যায়। বমি বমি ভাব থাকে। কখনো কখনো বমি হয়।
* অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে, হাঁপিয়ে ওঠে, নিঃশ্বাসের কষ্ট হয়।
* ব্লাড প্রেশার ওঠানামা করতে পারে।
* একাধিকবার প্রস্রাবের সংক্রমণ হতে পারে। প্রস্রাবে জ্বালা ও ব্যথাও হতে পারে।
* সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ, মুখ, পা ফোলা লাগে।

এই ধরণের সমস্যা হলে ইউরিন টেস্ট-সহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষা করিয়ে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা দরকার। কিডনির অসুখের পাঁচটি স্টেজ আছে। প্রথম চারটি স্টেজে ওষুধ ও লাইফস্টাইল মডিফিকেশন করেই ভালো থাকা যায়। কিন্তু স্টেজ ৫ এ ডায়ালিসিস ও কিডনি প্রতিস্থাপন করা ছাড়া উপায় থাকে না।

ক্রনিক কিডনির অসুখে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে নির্দিষ্ট সময় পরপর খাবার খেতে হবে। বেশি লবণ বা তরল খাবার খেলেও কিডনির ধকল বাড়ে। পা ও মুখে পানি জমে ফুলে যায়। তাই কম লবণ দিয়ে রান্না করা বাড়ির খাবার খেতে হবে। চানাচুর, চিপস, আচার ইত্যাদিতে প্রচুর লবণ থাকে, এগুলো বাদ দেবেন। এছাড়া প্রাণিজ প্রোটিন দুর্বল কিডনির উপর বাড়তি চাপ ফেলে। তাই মাছ, ডিম, চিকেন খেতে হবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট পরিমাপে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস ফুসফুসকে আক্রমণ করে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও কিডনির কোষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিডনির রক্তবাহী ধমনীতে রক্তের ডেলা আটকে যাওয়ায় শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ খুব কমে যায়। ফলে কিডনির কোষ এমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চীন, নিউ ইয়র্ক, ইতালি ও ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের ৩০ শতাংশেরই কিডনি খারাপ হয়েছে। তাই করোনাভাইরাস আক্রান্তদের বেলায় অসুখ সারার পর কিডনি বিশেষজ্ঞের পরমার্শ মেনে চলা উচিত।