• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউতে জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পাশে আছি: প্রধানমন্ত্রী জনসমর্থন থাকায় আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা অসম্ভব রোহিঙ্গাদের জন্য বৃহত্তর তহবিল সংগ্রহে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান লেখাপড়ার নামে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিশ্বে অনেক বাজার আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে: প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে ভাষা সংরক্ষণ-উন্নয়নের উদ্যোগ, হচ্ছে আইন ‘কিডনি রোগীদের চিকিৎসায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার’ ইফতার পার্টি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

এই সময় কলমি শাক খাওয়ার অবিশ্বাস্য ১০ উপকারিতা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২০  

শাক-সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে বিশেষ কিছু শাক রয়েছে, যা খাওয়ার রয়েছে অবিশ্বাস্য উপকারিতা। এর মধ্যে কলমি শাক অন্যতম। এই শাক দামে যেমন সস্তা ঠিক পুষ্টিতেও পরিপূর্ণ। 

কলমিশাক আঁশজাতীয় একটি খাবার। অনেকেই কলমি শাক দিয়ে পাকোড়া, ভর্তা বা ভাজি বানিয়ে খেয়ে থাকেন। এতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যোপাদান রয়েছে। নানা রকম ওষধি গুণ রয়েছে এই শাকে। এটি চোখ ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের অনুপাত ঠিক রাখে। কলমি শাকের এমন অনেক অবিশ্বাস্য উপকারিতা রয়েছে যা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এর ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে- 

পুষ্টিতে ভরপুর

প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকে পাওয়া যায় ২৯ কিলো-ক্যালোরি, সোডিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩১২ মিলিগ্রাম, খাদ্য আঁশ ২.১ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম, কর্বোহাইড্রেটস ৫.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.৫ মিলিগ্রাম, জলীয় অংশ ৮৯.৭ গ্রাম।

বুকের দুধ বৃদ্ধি করে

জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ান। এতে শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাবে। বাচ্চারা যদি মায়ের দুধ কম পায় সেক্ষেত্রে কলমি শাক ছোট মাছ দিয়ে রান্না করে খেলে মায়ের দুধ বাড়বে এবং তখন বাচ্চা দুধ পাবে।

ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ করে

কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে বলে এ শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ালে তাদের আর বাজারের প্রচলিত চটকদার ফুড সাপ্লিমেন্টের দরকার হয় না।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে

কলমি শাক মূলত আঁশজাতীয় খাবার। তাই শরীরের খাবার দ্রুত হজমের জন্য কলমি শাক বিশেষ উপকারি। নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। কোষ্ঠ কাঠিন্য হলে কলমি শাক তুলে সেচে এক পোয়া পরিমাণ রস করে আখের গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকেল এক সপ্তাহ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

দুর্বলতা কমায়

কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য-শক্তি থাকায় শারীরিক দুর্বলতা দ্রুত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। রোগীদেরকে দ্রুত সুস্থ হবার জন্য তাই কলমি শাক খাওয়ানো হয়ে থাকে।

রক্তশূন্যতা দূর করে

কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহ থাকায় এই শাক রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারি। সারা দেহে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতেও এই শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

গর্ভবতীদের জন্য উপকারী 

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের শরীরে, হাতে-পায়ে পানি আসে, সেই সময় কলমি শাক বেশি করে রসুন দিয়ে ভেজে তিন সপ্তাহ খেলে পানি কমে যাবে।

মাথাব্যথা দূর করে

যাদের মাঝে মাঝে বিনা কারণে মাথাব্যথা করার সমস্যা আছে তারা কলমি শাক খেলে উপকার পাবেন। অনিদ্রা দূরীকরণেও কলমি শাক খেতে পারেন।

চোখের জন্য উপকারি

কলমি শাক চোখের জন্য বিশেষ উপকারি। কলমিশাক দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে। এছাড়া রাত কানা রোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলমি শাক কয়েক সপ্তাহ প্রতিদিন একবেলা ভাজি রান্না করে খেলে রাত কানা রোগ ভালো হয়।

জ্বালাপোড়া কমায়

প্রস্রাবে জ্বালা যন্ত্রণা করলে কলমির রস করে ৩ বা ৪ চামচ পরিমাণ ৩ সপ্তাহ খেলে ওই জ্বালা কমে যায়। আর হাত-পা বা শরীর জ্বালা করলে কলমি শাকের রসের সঙ্গে একটু দুধ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।