• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ঊনসত্তরের পথ ধরেই মুক্তিযুদ্ধ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১  

ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস আজ। গণঅভ্যুত্থানের মুখে ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব আসামিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান অনন্য এক অধ্যায়। ঊনসত্তরের পথ ধরেই মুক্তিযুদ্ধ। বিজয় পতাকায় বাঙালির সেরা অর্জন লাল সবুজের বাংলাদেশ।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তীতে ১১ দফা ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি অর্জন করে মহান স্বাধীনতা।

১৯৬৬ সালে পাকিস্তানীদের শোষণ ও বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধিকার আন্দোলনে ভীত কেঁপে ওঠে শাসকগোষ্ঠীর। আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বন্দি করা হয় বঙ্গবন্ধুকে।

ষড়যন্ত্র হয় বাঙালির প্রিয় নেতাকে ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলানোর। ফুঁসে ওঠে ছাত্র-জনতা। আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে বাংলার আনাচে-কানাচে। আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভুত্থানে। সংগ্রামী বাঙালি আইয়ুব শাহীর ১৪৪ ধারা ভেঙে রাজপথের দখল নেয়। ২০ জানুয়ারি শহীদ হন আমানুল্লা আসাদুজ্জামান। আসাদের আত্মদানের পর তার রক্তামাখা শার্ট নিয়ে তাৎক্ষণিক মিছিলে বের করে ঢাকা বিশ্ব্যবিদ্যালয়ের ছাত্ররা।

রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন বলেন, তখনও ১৪৪ ধারা রয়ে গেছে কিন্তু ছাত্রদের মিছিল এতো জঙ্গি রূপ নিলো যে পুলিশের পক্ষে তাদেরকে বাঁধা দিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। ইতিমধ্যে আইয়ুবের বিরুদ্ধে লড়াইগুলো ক্রমশ ঘনিভূত হয়ে তাকে উৎখাত করার পথে এগিয়ে যায়।

২৪ জানুয়ারি সান্ধ্য আইন ভেঙে সাধারণ জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে রাজপথে শহীদ হন কিশোর মতিউর। গণঅভ্যুত্থানের মুখে বাঙালি মুক্ত করে আনে তাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।