• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২০  

 

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে। ৬৬০ এর বদলে ৬৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে বর্তমানে কেন্দ্রটি। পরীক্ষামূলক উৎপাদনে সফল হওয়ার পর আগামী ১৩ এপ্রিল পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইনিশিয়াল অপারেশন ডেট (আইওডি) ঘোষণা করতে যাচ্ছে।

৭ এপ্রিল জিরো আওয়ার থেকে কেন্দ্রর রিল্যায়েবেলিটি টেস্ট (নির্ভরযোগ্য উৎপাদন ক্ষমতা) শুরু হয়েছে। এতে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াটের স্থলে ৬৮০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল)।

কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, ‘আমরা এই পরিস্থিতিতেও কেন্দ্রটির উৎপাদন ঠিক রেখেছি।  প্রথম ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট হলেও এখন আমরা ৬৮০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে গ্রিডে সরবরাহ করেছি।’

প্রসঙ্গত, দেশের সব থেকে বড় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দু’টি ইউনিট রয়েছে। প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট করে। এর প্রথম ইউনিট যখন বাণিজ্যিক উৎপাদনের ছাড় পায় সে দিনটিকে বলা হয় আইওডি। আর দ্বিতীয় ইউনিট যখন বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে সেদিনটি হচ্ছে কর্মাশিয়াল অপরাশেন ডেট (সিওডি)।

গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন শুরু করে। গত তিন মাস ধরে কেন্দ্রটি নানা ধাপে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। সব শেষ ধাপে আইওডি ঘোষণার আগে সাত দিন রিল্যায়েবেলিটি টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে যে কোনও তিন দিন কেন্দ্রটিকে ফুল লোডে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে দেখাতে হয়। এটি একসঙ্গেও হতে পারে, আবার ধাপে ধাপেও হতে পারে। তবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এখন বিদ্যুতের চাহিদা না থাকাতে ধাপে ধাপে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রটির প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মাওলা বলেন, ‘আমরা সব দিক দিয়েই প্রস্তত। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে এখন বিদ্যুতের চাহিদা কম। আমরা কেন্দ্রটিকে চালিয়ে দেখিয়েছি। এখান থেকে ৬৮০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘আইওডি ঘোষণার জন্য ১২ সদস্যর একটি পর্যবেক্ষক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা ছাড়াও পিডিবি এবং পিজিসির কর্মকর্তারা রয়েছেন। যেহেতু এখন দেশের পরিস্থিতি ভালো না তাই প্রতি ছয় ঘণ্টা পরপর আমরা প্রত্যেক সদস্যর কাছে কেন্দ্রটি পরিচালনার সব তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছি। এছাড়া পিডিবি নিজ নিজস্বভাবেও পর্যবেক্ষণ করছে।’

যৌথ মালিকানায় রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি এপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি) কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে। এজন্য উভয় প্রতিষ্ঠান মিলে বিসিপিসিএল গঠন করেছে। কেন্দ্রটির সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট আগামী জুনে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে। পায়রা বিদ্যুৎহাবে বিসিপিসিএল আরও একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র নির্মাণ করছে।

চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণ সুবিধায় কেন্দ্রটি সেদেশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনইপিসি নির্মাণ করেছে।