• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত সেতুর ঝলমলে আলো মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  

শিবচর প্রতিনিধিঃ একটি সেতুও হয়ে উঠতে পারে দৃষ্টিনন্দন, বিনোদনপ্রেমীদের কাছে ঘুরতে আসার স্থানও। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ভাঙ্গা-যাত্রাবাড়ী এক্সপ্রেসওয়ের আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত দ্বিতীয় সেতুটিতে সন্ধ্যার পরে যেন সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়ায়! ঝকঝকে সড়ক এসে মিলিছে সেতুতে। সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এলেই জ্বলে উঠে সেতুর বাতি। এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত পুরো সেতু হয়ে উঠে ঝলমলে। এই দৃশ্য দেখতে সন্ধ্যার পর অনেককেই দেখা যায় সেতুর পাশের খোলা জায়গায় বসে আড্ডা দিতে। কেউবা হেটে যায় সেতু দিয়ে। অনেকে আবার মোটর সাইকেল বা অটোরিক্সায় করে দেখে সেতুর সৌন্দর্য। সেতু ও সড়ক মিলিয়ে অনেকে আবার জায়গাটির নাম দিয়েছে 'আমাদের সিঙ্গাপুর'। সড়ক ও সেতুর এই সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ স্থানীয়রা এবং এই রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা।

জানা গেছে, 'ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত বিশ্বমানের এক্সপ্রেসওয়। এর মধ্যে শিবচরের পাঁচ্চর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রয়েছে ২০ কিলোমিটার পথ। এই এক্সপ্রেসওয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত হয়েছে দুই লেনের আরো একটি সেতু। বর্তমান সেতুটি পূর্বের হাজী শরিয়তউল্লাহ সেতুর উত্তর পার্শ্বে নির্মিত হয়েছে। এই সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পর সেতুর সৌন্দর্য ধরা পড়ে সাধারন মানুষের চোখে। সন্ধ্যার পর সড়কবাতি জ্বলে উঠলে পুরো সেতু ও সড়ক এক মোহনীয় সৌন্দর্যে রূপ নেয়। এমন অভিমত স্থানীয়দের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্মানাধীন দেশের অন্যতম একটি সড়কের নাম ঢাকার যাত্রাবাড়ী-ভাঙ্গা মহাসড়ক। সেই সাথে সড়কের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীরা। আর রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগের জন্য বাঁচবে সময় ও অর্থও। যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের কিছু অংশ রয়েছে মাদারীপুর জেলার শিবচরের মধ্যে। শিবচরের পাঁচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রয়েছে সড়কের ২০ কিলোমিটার।

এই বিশ কিলোমিটার পথেই আড়িয়াল খাঁ নদের মধ্যে ইতোপূর্বেই একটি সেতু ছিল। ২০০৫ সালের দিকে সেতুটির উদ্বোধন করা হয়েছিল। নামকরণ করা হয়েছিল হাজী শরিয়তউল্লাহ সেতু। বর্তমানে এই সড়কটি ফোরলেনে উন্নীতকরণের জন্য আগের সেতুটি পর্যাপ্ত নয়। এর ফলেই আরেকটি সেতু নির্মান করা হয়েছে। এই সেতুটির দুটি অংশ রয়েছে। দুটি অংশে যানবাহন ভিন্ন ভাবে যাওয়া-আসা করছে। এই সেতুটিই এখন স্থানীয়দের কাছে সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হারুন জানান, এই সেতুটি এখন এই এলাকার এক দৃষ্টিনন্দন সেতুতে পরিণত হয়েছে। সেতুর দিকে তাকালে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। সন্ধ্যা হলে সেতুতে বাতি জ্বলে উঠলে অসাধারন লাগে দেখতে।'

স্থানীয়রা আরেক বাসিন্দা আরাফাত জানান,'বিকেল থেকে রাত ৮/৯ টা পর্যন্ত এখানে অনেকেই আসে সময় কাটাতে। নদীর বাতাস আর সেতুর সৌন্দর্যে মুগ্ধ ভ্রমন বিলাসীরা। আর স্থানীয়দের কাছে এই সেতু ও সড়ক বর্তমান সরকারের উন্নয়নের এক মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে।'