• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

অনেক ঝড় মাথায় নিয়ে দেশে আসতে হয়েছিলো: প্রধানমন্ত্রী

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২১  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর যেন দেশে ফিরতে না পারি সেজন্য তখনকার সরকার অনেক বাধা দিয়েছিল। কিন্তু সব ঝড়-ঝাপটা অতিক্রম করেই দেশে ফিরেছি এবং আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। সোমবার (১৭ মে) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হন তিনি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জানান, এ দেশের মানুষের জন্যই তিনি ফিরে এসেছিলেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর যেখানেই গেছেন, মানুষ তাঁকে আপন করে নিয়েছে। এ সময় তিনি সারা দেশের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করেন, ‘খুনি ও যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার আমার বাবা শুরু করেছিলেন, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তারা তখন ক্ষমতায়। খুনিদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে, তারা ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় কিন্তু আমি চলে এসেছিলাম, আমি কোনো কিছুই চিন্তা করিনি। এই স্বাধীনতাকে আমার সফল করতেই হবে—এ রকম একটা প্রতিজ্ঞা সবসময় আমার আর রেহানার (প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা) মধ্যে ছিল।’

এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। এ সময় তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রেহাই পান।

পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপরই তিনি ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন।

শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হৃদয় ছোঁয়া ভালবাসার জবাবে এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী প্রতিবছর বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করলেও এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করছে।