প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে হরিণঘাটায়
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২২
ধুলোময় শহুরের বদলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ আছে এখানে। এখানেও শব্দ আসবে কানে, তবে তা বিরক্তিকর নয়। বরং দূর থেকে ভেসে আসা সাগরের মায়াবী গর্জন শোনা যাবে। হাজারো প্রজাতির বৃক্ষসমৃদ্ধ চিরসবুজ বনভূমিতে পাখিদের অবাধ বিচরণ মন আর চোখ দুটোকেই শীতল করে দেবে। সবুজ বনের মাঝ থেকে এঁকেবেঁকে এগিয়েছে হাঁটার পথ। সেই পথে হেঁটে যেতে যেতে অনুভূত হবে এ যেন প্রকৃতির এক মায়াবী সান্নিধ্য। এই প্রকৃতি প্রশান্তির সন্ধান দেবে হরিণঘাটা বন।
উপকূলীয় জেলা বরগুনার পাথরঘাটায় সীমাহীন সাগরের কোল ঘেঁষে জন্ম নিয়েছে হরিণঘাটা বন। ছোট থেকে এখানের গাছগুলো প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠেছে সম্মুখ সমুদ্রের বাতাসকে গায়ে মেখে। নানা প্রজাতির সেই গাছগুলো বড় হয়ে ডালপালা ছড়িয়ে বাড়িয়েছে এ বনের সবুজ সৌন্দর্যকে। নয়নাভিরাম এ বনের মধ্য দিয়ে এঁকেবেঁকে জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে একাধিক খাল। দর্শনার্থীরা চাইলেই ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা ভাড়া করে বনের মধ্যে খালে ভেসে বেড়াতে পারছেন।
যারা খুব অল্পতেই ক্লান্ত হওয়ার নন, তারা হেঁটে হেঁটে বন দেখতে পছন্দ করেন। আর তেমন কিছু পর্যটক আসেন এখানে, যারা বনের শুরু থেকে হেঁটে চলেন শেষ সীমানা অবধি। অবশ্য সমুদ্রের যে গর্জন বনের মধ্য থেকে শোনা যায়, সেই সমুদ্রকে নিজ চোখে দেখতে হলে পৌঁছাতে হবে বনের শেষ প্রান্তে। বনের শেষ সীমানায় দাঁড়ালেই চোখে পড়বে বাংলাদেশের তটরেখায় ঢেউ খেলে যাওয়া সমুদ্রের শোভা।
প্রায় সাত হাজার একর জায়গা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা বনাঞ্চলটি উপকূলীয় পর্যটন সম্ভাবনার নাম। মায়াবী প্রকৃতির সান্নিধ্যে একটুখানি সময় কাটাতে এখানে প্রতিদিন বাড়ছে পর্যটকদের আগমন। ছুটে আসছে শিশু, যুবক, নারীসহ সব বয়সের মানুষ। এসব বিষয় বিবেচনা করেই হরিণঘাটা বনাঞ্চলকে ইকো টুরিজমের আওতায় আনা হয়েছে। বনটিকে দর্শনার্থী-মুখর করতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় জলবায়ু ট্রাস্টের তহবিলে বনের ভেতর একটি ঝুলন্ত সেতুসহ আঁকাবাঁকা দুই হাজার ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এক ফুট ট্রেইল (হাঁটার পথ) তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি চারটি গোলঘর (বিশ্রামাগার) ও একটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে বনটিতে।
এই বনে হিংস্র প্রাণী নেই। তবে রয়েছে কিছু বানর, শূকর, হরিণ, গুইসাপসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এখানে রয়েছে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ প্রজাতির পাখি। শীতমৌসুমে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত হয় এ বনের সম্মুখ পানের দক্ষিণা সৈকত। পাশাপাশি দেখা মেলে একাধিক শ্রেণির জলজ প্রাণীর।
হরিণঘাটা বনাঞ্চলকে ইকো টুরিজমের আওতায় আনা হয়েছে।
বনে দেখা যাবে কেওড়া, গেওয়া, পশুর, ছৈলা, বাইন, করমজা, খলিসা, সুন্দরীসহ নানা প্রজাতির গাছ। বনের মধ্যে খালগুলোর দুই ধারে দেখা মিলবে গোলপাতার সারিবদ্ধ সমাবেশ। এ ছাড়া সাগর-মোহনার ঝাউবন বনটিকে করে তুলেছে আরো স্নিগ্ধ।
বনের ঠিক দক্ষিণ সীমানায় সাগর-মোহনার চরে শীতমৌসুম এলেই শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলোর আগমন ঘটে। তখন এখানকার চরের বুকেই সৃষ্টি হয় একটি অস্থায়ী শুঁটকিপল্লি। আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথোপকথন হয় শুঁটকিপল্লিতে কর্মরত শ্রমিকদের। আর তখন শুঁটকিপল্লি দেখতে পারার উপলব্ধি যেন উপরি পাওনা হিসেবে মন ভরিয়ে দেয় দর্শনার্থীদের।
সাগরের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা এ এলাকার মানুষ সম্ভাবনার আশা খুঁজতে শুরু করেছে নানাভাবে। পর্যটকের আশায় বুক বেঁধে বনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে স্থানীয় মানুষ।
যাতায়াত
ঢাকার সায়েদাবাদ ও গাবতলী থেকে সরাসরি বাসে করে যাওয়া যাবে পাথরঘাটা সদর পর্যন্ত। বাস ভাড়া গাবতলী থেকে জনপ্রতি ৬০০ টাকা এবং সায়েদাবাদ থেকে ৫০০ টাকা।
এ ছাড়া ঢাকা-বরগুনা লঞ্চে করেও যাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে সহজে পাথরঘাটা পৌঁছাতে, বরগুনা লঞ্চঘাট পর্যন্ত না গিয়েই কাকচিড়া লঞ্চঘাটে নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে স্থানীয় বাহনযোগে পৌঁছানো যাবে পাথরঘাটা সদর কিংবা হরিণঘাটা পর্যন্ত। লঞ্চে সিঙ্গেল কেবিন এক হাজার ২০০ টাকা ও ডাবল কেবিন দুই হাজার ২০০ টাকা। ডেক ভাড়া ২৫০-৩০০ টাকা। বরগুনা পাথরঘাটা উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার দক্ষিণে হরিণঘাটা বাজার ভেদ করে একটু সামনে এগোলেই হরিণঘাটা বনকেন্দ্র।
রাত্রিযাপন ও খাওয়া
থাকা ও খাওয়ার জন্য পাথরঘাটা সদরে ব্যবস্থা রয়েছে। উপজেলা পরিষদের ডাকবাংলোসহ রয়েছে ছোট-বড় আবাসিক হোটেল। সেক্ষেত্রে থাকার খরচ হতে পারে জনপ্রতি ১০০-৪০০ টাকা। খেতে গেলে পাবেন অনেক হোটেল, যাতে থাকবে নদী কিংবা সমুদ্রের তাজা মাছ। আর সম্ভব হলে সময় করে পাথরঘাটা ইলিশ বন্দরটাও ঘুরে আসতে পারেন।
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- পাপীদের হাতে যখন রাষ্ট্র ছিল, সেসময় রাষ্ট্রের উন্নয়ন হয়নি
- আমরা তৃনমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে একত্রে সংগঠন চালাতে চাই
- মাদারীপুরে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস পালিত
- শিবচরে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২
- আবাসিক হোটেলে ধারাবাহিক অভিযান, গ্রেপ্তার ২৫
- পুলিশের ধাওয়ায় ককটেল ভর্তি বালতি রেখে পালিয়ে গেলো দুষ্কৃতীরা
- মাদারীপুরে চোরাই মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক
- শিবচরে ৩ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জরিমানা
- রাজৈরে ভ্রাম্যমান আদালতে হোটেল মালিককে জরিমানা
- প্রধানমন্ত্রী সবার কথা ভাবেন বলে দেশ আজ উন্নত - শাজাহান খান
- নেই ডাক্তার-নার্স-টেকনোলজিস্ট রাজৈরে হাসপাতাল সিলগালা ও জরিমানা
- ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
- মাদারীপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলো ২৯ জন
- নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ যাচাইয়ে কমিটি
- মাদারীপুরে জাতীয় পাট দিবসে র্যালী ও আলোচনা সভা
- ৯৬ জনকে নিয়োগ দেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড
- বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেই স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি
- প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠনের পরেই গ্রামকে শহরে পরিণত করার কাজ করছে
- এস আলম চিনিকলে ৫৪ ঘণ্টা পরও নেভেনি আগুন
- অসত্য কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় না- শাজাহান খান এমপি
- মাদারীপুরে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্কুল ব্যাংকিং
- রমজানের আগে নবীজি যে দোয়া বেশি বেশি পড়তেন
- জবি ছাত্রী আত্মহত্যা: সহকারী প্রক্টরকে অব্যাহতি, ছাত্রকে বহিষ্কার
- দক্ষিণ আফ্রিকায় গুলিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি নিহত
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- একজন মুসলিম যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন
- কান্না থামাতে মুখ চেপে ধরলে মারা যায় শিশু নুসরাত
- গাজার শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ভুয়া ডিবি পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মাইক্রোবাসসহ গ্রেপ্তার ৬
- শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি আস্থার প্রতিফলন: চীফ হুইপ