• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

আইপিএলে নিষেধাজ্ঞার মুখে সাকিব-মুস্তাফিজরা

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩  

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় লিগ। টাকার হিসাবে টুর্নামেন্টটি ক্রিড়াবিশ্বের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল লিগ। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি শুধু টাকার জন্যই নয়, সেরাদের সেরা হওয়ারও দারুণ এক সুযোগ। লিগটি খেলতে দেশ-বিদেশের নামিদামি ক্রিকেটারদের আগ্রহ দেখলেই আঁচ করা যায় ব্যাপারটা।

আইপিএলের শুরু থকেই বাংলাদেশ থেকে খুব একটা খেলোয়াড় সুযোগ পান না। এক সাকিব আল হাসান খেলছেন ২০১১ সাল থেকে। এরপর মুস্তাফিজ খেলছেন গত ছয়-সাত বছর ধরে। তবে প্রতিবছরই আইপিএলে খেলতে যেতে কমবেশি বাধার মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের।

৩১ মার্চ শুরু হবে আইপিএলের নতুন মৌসুম। আসন্ন আসরে বাংলাদেশ থেকে তিন ক্রিকেটারের অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। সাকিব ও লিটন খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। মুস্তাফিজুর রহমান জার্সি জড়াবেন দিল্লি ক্যাপিটালসের। তবে আন্তর্জাতিক সূচি থাকায় এই তিন ক্রিকেটারকে পুরো মৌসুম পাচ্ছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

শুধু এবারই নয়, গেল আসরে নিলামে দল না পেলেও বদলি ক্রিকেটার হিসেবে তাসকিন আহমেদকে দলে নিতে চেয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। কিন্তু বিসিবি শেষ পর্যন্ত এই পেসারকে এনওসি দেয়নি। তার ওপর চলতি আসরে সাকিব-লিটনদের অংশ নেয়া নিয়ে চলছে নাটকীয়তা! আর তাতে চটেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।

বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের এমন আচরণে এবার চটেছে আইপিএলের একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সময়মতো না পেলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিলাম থেকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করবে বলেও জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আর সত্যিই যদি তা হয় তবে আইপিএলের নিলাম থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

সাকিব-লিটনদের আইপিএলে অংশ নেয়ার ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইপিএল নিলামে ওদের যখন ডাকা হয়, তার আগে আমাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে ওরা কখন অ্যাভাইলেবল। আমরা ওদের জানিয়ে দিয়েছি এবং এটা জেনেই ওরা ওদের নিলামে নিয়েছে। এরপর আর কোনো কিছু...যদি পরিবর্তন হয় তাহলে তো আমরাই বলব আপনাদের। আমাদের এখন পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন আনিনি এখানটায়। আমাদের যেটা ছিল তা-ই আছে।’

এই প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘বিষয়টি এখন বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা তো বিসিসিআইকে কমপ্লেইন করতে পারি না! যেন তারা বোর্ডগুলোকে রাজি করায়। তবে এর পরের মৌসুম থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অবশ্যই সতর্ক থাকবে তাদের (সাকিব-লিটন) দলে নেয়ার ক্ষেত্রে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত আসরে তাসকিনকে এনওসি দেয়নি, এবার সাকিবদের দিচ্ছে না! তারা (বিসিবি) যদি না চায় তাদের খেলোয়াড়রা অংশ নিক, তাহলে তাদের নিবন্ধন কেন করতে দেয়! অবশ্যই এখন থেকে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে আমাদের ধারণা বদলে যাবে।’

শুধু বাংলাদেশকে নিয়েই যে চটেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এমনটা নয়! এ তালিকায় আছে শ্রীলঙ্কার নামও। আসন্ন মৌসুমে দেশটির চারজন ক্রিকেটার অংশ নেবেন। তবে আন্তর্জাতিক সূচির কারণে তাদেরও শুরু থেকে পাওয়া নিয়ে রয়েছে জটিলতা।

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটিকে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা পুরোপুরি খেলোয়াড়দের দায়িত্ব। তারা কীভাবে তাদের বোর্ডকে রাজি করাবেন। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড বা অন্য দেশের খেলোয়াড়রা এই পথটি খুঁজে বের করেছে, তাদের বোর্ড বাধা দিচ্ছে না। আইপিএলের মান নিয়ে তো কোনো সন্দেহ নেই। এ ছাড়া তাদের বোর্ডও এর লভ্যাংশ পেয়ে থাকে। এখন সিদ্ধান্ত পুরোপুরি খেলোয়াড়দের।’