• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

মানুষের রক্তে প্লাস্টিক, বিজ্ঞানীরা এর কারণ জানালেন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩  

মানুষের রক্তে প্লাস্টিকের উপস্থিতি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এটি মূলত প্লাস্টিকের সবচেয়ে ক্ষুদ্র কণা মাইক্রোপ্লাস্টিকের অংশ। এই প্রথম মানুষের শিরার ভিতরে এটির সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণার দাবি, মানুষের রক্তে ভেসে বেড়াতে পারে প্লাস্টিক। এবং তা কলাকোষে জমতেও পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনো এটা বলতে পারেননি, মানুষের স্বাস্থ্যে এর প্রভাব ঠিক কী। খাবারের প্যাকেট ও কৃত্রিম রঙে যে প্লাস্টিক পাওয়া যায়, সেই প্লাস্টিকই পাওয়া গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
জার্নাল ‘প্লস ওয়ান ‘-এ প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি। জানা গেছে, রোগীদের বাইপাস সার্জারির সময় তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে সেটি নিয়েই গবেষণা চালায় হাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাল ইয়র্ক মেডিক্যাল স্কুলের এক গবেষক দল। গবেষকরা প্রতি গ্রাম শিরার ভেতরে ১৫ ধরনের মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা ও পাঁচটি ভিন্ন ধরনের পলিমার পেয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মিলেছে অ্যালকাইড রেসিন, সাধারণত যা কৃত্রিম রঙে পাওয়া যায়।

সব মিলিয়ে এই গবেষণার ফলাফল নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ওয়াকিবহাল মহল। রক্ত ও কলাকোষে প্লাস্টিক থাকলে ঠিক কী ক্ষতি হতে পারে তা এখনও জানা না গেলেও অতীতের বিভিন্ন পরীক্ষায় যে ধরনের ইঙ্গিত মিলেছে তাতে উদ্বেগ বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে গবেষক অধ্যাপক জিনেট্টি রচেল জানিয়েছেন, ‘যদিও আমি জানি না মানুষের স্বাস্থ্যে এর প্রভাব ঠিক কী। কিন্তু এটুকু বলতেই পারি, গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে কোষের মধ্যে প্রদাহ ও চাপ তৈরি হতে পারে।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে মাতৃদুগ্ধে মিলেছিল প্লাস্টিক। ইতালির কিছু গবেষক এই তথ্য আবিষ্কার করেন। সদ্যোজাত শিশুদের সমস্যা নিয়ে গবেষণা করছিল একটি সংস্থা। সেখানেই মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা খতিয়ে দেখতে ৩৪ জন মায়ের থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু আতসকাচের মধ্যে দিয়ে সেই দুধ দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় বিজ্ঞানীদের। দুধের মধ্যে অজস্র মাইক্রোপ্লাস্টিক দেখতে পান তারা। এবার রক্তের মধ্যে দেখা মিলল মাইক্রোপ্লাস্টিকের।