• শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩০

  • || ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
বিএনপির পরবর্তী পরিকল্পনা দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটানো : প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিডিপিতে বস্ত্র খাতের অবদান ১৩ শতাংশ : প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় : রাষ্ট্রপতি নিউজউইকে নিবন্ধে প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার যাত্রী নিয়ে পর্যটন নগরীতে পৌঁছাল ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর মেয়র হানিফের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের নীতিগত অনুমোদন

মূলত যানবাহন পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৩  

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি মূলত যানবাহন পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামী নির্বাচনের পরে যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৮ যানবহনে আগুন দিয়েছে বিএনপি। অবরোধ-হরতাল কেউ মানছেন না, জনগণ এমনকি বিএনপি সমর্থকদের কোনো সম্পৃক্ততাও নেই এই কর্মসূচিতে। অবরোধ হরতালের নামে বিএনপি মূলত গাড়ি পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

একটি স্কুলে আগুন দেয়া হয়েছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি না, এগুলো সন্ত্রাসী, দেশবিরোধী অপতৎপরতা। এরা দেশ ও সমাজের শত্রুতে রূপান্তর হয়েছে। এরইমধ্যে যাদের ধরা হয়েছে, তারা বলেছে গাড়িতে আগুন দিলে দলের মধ্যে পদোন্নতি দেয়া হবে। আগুন দেয়ার ভিডিও ধারণ করে নেতাদের কাছে পাঠানো হয়। যোগাযোগ থাকলে তা লন্ডনেও পাঠানো হয় যোগ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, যে দলে গাড়িতে আগুন দিলে, মানুষ পুড়িয়ে মারলে পদোন্নতি হয়, যে দলের নেতারা গাড়িঘোড়া পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা সবাই দুষ্কৃতিকারী। আমরা এই আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।

এ দেশে আগামী নির্বাচনের পরে যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। এটিই হবে আমাদের প্রধান কাজ। নির্বাচনের আগেও তাদের নির্মূল করাই আমাদের প্রধান কাজ। কারণ তারা দেশ-জাতি ও সমাজের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। নেতারা সবাই দুষ্কৃতকারীতে রূপান্তরিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানানো হবে কিনা-প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক, সেটা আমরা চাই। একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকা। নির্বাচন বর্জন যে কেউ করতে পারেন, প্রতিহত করার এখতিয়ার কারও নেই।

তবে আমরা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কেউ নির্বাচন করতে না চাইলে তাকে নিয়ে আসা সরকারের দায়িত্ব না।

টেকনোক্র্যাটমন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন। এরকম টেকনোক্র্যাটের বাইরে কোনো মন্ত্রীর পদত্যাগের সম্ভাবনা আছে কিনা- এ প্রশ্নে উত্তরে তিনি জানান, প্রথমত নির্বাচনকালীন সরকার বলে সংবিধানে কিছু নেই। যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, গতবারও যারা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ছিলেন তারা পদত্যাগ করেছিলেন। এবারও যারা টেকনোক্র্যাটমন্ত্রী তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আর বাকি যারা সরকারের সংসদ সদস্য তাদের মন্ত্রী হিসেবে থাকতে কোনো বাধা নেই।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এরপর হরতাল ও পাঁচদফা অবরোধের পর আবারও টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতাল চলছে বিএনপির। চলবে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত।