বিএনপি কী আগের পথেই হাঁটছে!
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২৩

অতীতের ‘পাপ’ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে সারাক্ষণ যেন তাড়া করে ফিরছে। আন্দোলন করছে কিন্তু দলটি কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছে না।
অতীতের পাপ শুধু তাদের নয়, সাধারণ মানুষও এর থেকে রেহাই পাচ্ছে না। তাদেরও তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে এখনও ভয়ে গা শিউরে ওঠে। শেখ হাসিনার সরকারকে হঠানোর জন্য কি না করেছে। সরকার হঠানোর জন্য ৯২ দিন ধরে বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান এবং ৮৯ দিন ধরে চলা নেতিবাচক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা পেট্রোলবোমাসহ বিভিন্নভাবে নাশকতা চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে। তাদের জ্বালাও পোড়াও অভিযানে প্রায় দেড়’শ মানুষ মারা যায়। শুধু পেট্রোলবোমার আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে ৭০ জন। পেট্রোলবোমায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রায় এক হাজার নিরীহ মানুষ সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন। সে সব কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার করার পর সেসব মানুষের পরিবারগুলো যে কষ্ট পাচ্ছে, যারা পুড়েও বেঁচে আছে, তাদের সবার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করেছি। পোড়া মানুষগুলোর কষ্ট দেখলে আর ওদের (বিএনপির) সঙ্গে বসতে ইচ্ছে হয় না। মনে হয়, ওদের সঙ্গে বসলে আমি পোড়া মানুষগুলোর গন্ধ পাই।’
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির গাঁটছড়া বাধা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে ঘিরে পরিচালিত সহিংস আন্দোলন বিএনপির রাজনীতিকে সীমাহীন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। গত প্রায় এক দশক ধরে বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে শুধু জোটবদ্ধ রাজনীতি করছে না, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকা নিয়ে জামায়াত যে অপরাধ করেছে, তার দায়ও বিএনপি তাদের কাঁধে নিচ্ছে। অথচ একাত্তরের কোনও দায় বহনের যৌক্তিক কারণ বিএনপির নেই। একাত্তরে বিএনপি নামক দলটির অস্তিত্বই ছিল না। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধুর সরকারই জিয়াকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছে। কাজেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াতের সঙ্গে একাত্ম হয়ে এখন বিএনপি যে রাজনীতি করছে সেটা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত ছিল না। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় পরে হলেও একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর বিএনপি এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত না জানিয়ে যেভাবে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে প্রকারান্তরে বিরোধিতা করেছে, সেটা বিএনপির রাজনৈতিক ও নৈতিক অবস্থানকে দেশের মানুষের সামনে দুর্বল করে তুলেছে। মানুষ মনে করছে, বিএনপি নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করলেও কার্যত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াতের পক্ষ অবলম্বন করে রাজনৈতিক অসততার পরিচয়ই দিয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন সময়ে যে সহিংস কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল বিএনপি তারও বিরোধিতা করেনি। বরং জোট সঙ্গী হিসেবে জামাতের কর্মসূচীর প্রতি বিএনপির এক ধরনের নৈতিক সমর্থন ছিল বলেই মানুষের কাছে মনে হয়েছে। বিএনপি কখনোই নিজেদের জামায়াতের থেকে আলাদা করতে চায়নি। শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর জামায়াত এখন অনেকটাই ‘বিধ্বস্ত’ একটা দলে পরিণত হয়েছে। এই ‘ধসে যাওয়া’ জামায়াতের ওপর বিএনপির নির্ভরতা যে দলটিকে ক্রমেই দুর্বল করে ফেলছে এটা যদি এখনও উপলব্ধিতে না আনা হয় তাহলে বলতে হবে দলটির জন্য কোনও সুসংবাদ সহসাই অপেক্ষা করছে না!
মোহাম্মাদ জুয়েল হোসেন গাজী নামে ঢাকার মিরপুরের এক ব্যক্তি বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীর পরিচয় দিয়ে ক্যানাডা সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তার স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাসের আবেদন ২০১৫ সালে প্রাথমিক অনুমোদন পেলেও ২০১৬ সালের ১৬ মে তাকে ‘কানাডায় প্রবেশের অযোগ্য ঘোষণা’ করেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তা। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কানাডার ফেডারেল আদালতে বিচারিক পর্যালোচনার আবেদন পরবর্তীতে খারিজ করে রায় দেন বিচারক হেনরি এস ব্রাউন। অভিবাসন কর্মকর্তা তার সিদ্ধান্তে বলেছিলেন, আবেদনকারী জুয়েল হোসেন গাজী এমন একটি সংগঠনের সদস্য, যে দল ‘সন্ত্রাসে যুক্ত বলে মনে করার যৌক্তিক কারণ আছে’। সুতরাং কানাডার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি প্রোটেকশন অ্যাক্ট (আইআরপিএ)-র ৩৪(১)-এর এফ ও সি ধারা অনুযায়ী তিনি সুরক্ষা পাওয়ার জন্য ক্যানাডায় বসবাসের স্থায়ী অনুমতি পাওয়ার যোগ্য নন।
কানাডার আইনের ওই ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি এমন কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, যে সংগঠন সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিল, আছে বা ভবিষ্যতে থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করার যৌক্তিক কারণ আছে, তাহলে তিনি নিরাপত্তাজনিত কারণে ক্যানাডায় প্রবেশের অনুমতি পাবেন না। সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার আবেদনে জুয়েল গাজী দাবি করেছিলেন, বিএনপি সন্ত্রাসকে ‘প্রশ্রয় দেয় না’ এবং দলের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায় কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও নজির রয়েছে। কিন্তু অভিবাসন কর্মকর্তার তুলে ধরা লাগাতার হরতাল ও সহিংসতার বিবরণ তুলে ধরে রায়ে বলা হয়েছে, তার সঙ্গে তুলনা করলে আবেদনকারীর যুক্তি ‘হারিয়ে যায়’।
সরকার পতনের নামে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো আবারও সেই জালাও পোড়াও শুরু করেছে। দেশবাসী আবারও বিএনপির ভয়ংকর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ দেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেউ যেন দেশের ক্ষতি না করতে পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়ের ফেসবুকের একটি অডিওতে শোনা যায়, ‘তোমরা আগুন ধরাও, এগুলো আমাদেরকে দেখাতে হবে, জায়গা মতো দেখাতে হবে।’
জায়গাটা কোনটা সেটা তিনি (নিপুণ রায়) নিজে জানেন। দাউ দাউ করে আগুন জ্বালানোর হুকুম তিনি দিচ্ছেন। সব জায়গা থেকে বিএনপির নেতারা এ ধরনের কাজের জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সব জায়গা থেকে বিএনপি নেতারা অগ্নিসন্ত্রাসের জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন। আমরা এটার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি।
এদিকে, রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালবলেছেন, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেই হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। ভোট হবে ডিসেম্বরের শেষে। সরকারের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন, তারা বিএনপির সেই আগের রুপ দেখতে পাচ্ছেন। যেটা ভালো লক্ষন নয়।
- জলবায়ু বিষয়ে পুরস্কার পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ১৪ দলের
- জয়পুরহাটে ককটেল বিস্ফোরণ
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবে ককটেল বিস্ফোরণ
- প্রাচীন কয়েন দেখিয়ে টার্গেট করতো শিল্পপতিদের, গ্রেপ্তার ৪
- বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ
- পল্টনে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ
- বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে জোর করবো কেন: ওবায়দুল কাদের
- পুলিশ সুপার দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা
- পুলিশের হাতে ছিনতাইকারী চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
- নাশকতার চেষ্টাকালে গ্রেফতার ২
- ফেনীতে ১৫ গাড়ি ভাঙচুর, ছাত্রদল নেতা আটক
- বিচার শুরু আমান-রিজভীসহ ৪৫ জনের
- আরও ৫ জনের করোনা শনাক্ত
- কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না: হানিফ
- যুবলীগের মূল কাজ দুটি, রাজনৈতিক ও সামাজিক: পরশ
- শেখ হাসিনা হলেন পৃথিবীর অন্যতম রাষ্ট্রনায়ক: আমু
- বিএনপি-জামায়াতের ব্যর্থ আন্দোলনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ: নাছিম
- গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ গাড়িতে আগুন
- যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা উচিত
- ৪ বছর ধরে জব্দ হওয়া ১৯ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস
- নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ
- কারাগারেই বিয়ে, আসামিকে মুক্তির নির্দেশ
- সারাদেশে বৈধ প্রার্থী ১৯৮৫ জন, অবৈধ ৭৩১ : ইসি
- গাজীপুরে খড়বোঝাই ট্রাকে আগুন
- এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণ ফল ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে
- মেট্রোরেলে ঢিলের ঘটনায় মামলার প্রতিবেদন ৯ জানুয়ারি
- মঙ্গলবার থেকে ইসিতে আপিল করতে পারবেন প্রার্থীরা
- টাকা চুরির সময় চিনে ফেলায় বৃদ্ধকে হত্যা
- ওসি বদলিতে আরও ৩ দিন সময় পেল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- একদিনে ৬৮২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, ঢাকার বাইরে ৫৪৭
- জন্মদিনে দুবাইয়ে নিয়ে না যাওয়ায় স্ত্রীর ঘুষি, প্রাণ গেল স্বামীর
- সোনামসজিদ দিয়ে ৫১৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি, কেজিতে কমল ১০ টাকা
- আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাড়বে কৃষি উৎপাদন
- গোয়াল-ঘরে তরুণীকে ধর্ষণের সময় দেখে ফেলেন ভাই, অতঃপর...
- চাচা প্রবাসে থাকায় চাচির সঙ্গে পরকীয়া, অতঃপর...
- শ্রমিকরা আন্দোলনে নাশকতায় জড়িত অনুপ্রবেশকারীরা
- মিসড কলেই ব্যাংক থেকে গায়েব টাকা, নিরাপদ থাকার উপায়
- কিস্তি তুলতে গিয়ে কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেম, অতঃপর...
- বিএনপিকে শর্তহীন নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ আওয়ামী লীগের
- চার লেন হচ্ছে ওসমানী বিমানবন্দর সড়ক
- যুক্তরাষ্ট্রে মৌসুমীর ‘কন্ট্রাক্ট বিয়ে’!
- পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রী, জেল থেকে বেরিয়েই প্রাণ নিলেন স্বামী
- তালতলায় বিহঙ্গ বাসে আগুন দেওয়ার সময় হাতেনাতে কিশোর আটক
- গুড় আসল না নকল, বুঝবেন যেভাবে
- জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান
- বাজারে শীতের সবজি, স্বস্তি ব্রয়লারে
- কৃষিতে নীরব বিপ্লব
- পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২,৫০০ টাকা চূড়ান্ত
- যেসব শোবিজ তারকা পেলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন
- বরিশালে বিস্কুটবাহী কাভার্ডভ্যানে আগুন
- জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ জানুয়ারি
- সারা দেশে সেনা মোতায়েনে সিইসিকে লিগ্যাল নোটিশ
- পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যার চেষ্টা, আটক ২
- মাদারীপুরে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি অবকাঠামোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- ঘরে বসেই যেভাবে জানা যাবে এইচএসসির ফল
- ১১ জেলায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’
- অবশেষে জামালপুর থেকে ছাড়বে ‘বিজয় এক্সপ্রেস’
- স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে
- গায়ের রঙ নিয়ে স্বামীর খোঁটা....
- পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার