• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা, পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২  

বৈশ্বিক মহামারি করোনা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণের ৪ বছর পর রোববার (২৭ নভেম্বর) পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সম্মেলন উপলক্ষে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত এবং এর পাশাপাশি পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন।
উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা, পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ

সম্মেলন ঘিরে জেলা শহর সেজেছে অপরূপ সাজে। শহরের বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে একাধিক তোরণ। রঙিন বৈদ্যুতিক বাতিতে ঝলমল করছে শহরের বিভিন্ন সড়ক। পদপ্রত্যাশীদের ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে জেলা ও উপজেলার সর্বত্র। এরই মধ্যে জেলা সম্মেলন আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
 
এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে জেলা, উপজেলাসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন করে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। তাদের মধ্যে চলছে নানা পরামর্শ। তবে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীসহ আওয়ামী লীগের নেতারা চান সম্মেলনের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী নেতৃত্ব আসুক। কেন না আর মাত্র এক বছর পরেই হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যেখানে এই জেলা নেতৃত্বের ভূমিকা থাকবে গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার পর থেকেই পদপ্রত্যাশীরা তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ ফেসবুকেও প্রচারণাও চালাচ্ছেন। প্রত্যাশিত পদ পেতে জেলার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও দৌড়ঝাঁপ চলছে।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, পিরোজপুর পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক জানান, সম্মেলন আয়োজনের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। জেলা সম্মেলন আয়োজনের জন্য জেলার ৬টি উপজেলার সম্মেলন এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সাংগঠনিক কিছু সমস্যার কারণে শুধু মঠবাড়িয়া উপজেলার সম্মেলন করা যায়নি।

সম্মেলনে নতুন মুখ আসবে কি না জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মালেক বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে দলের যেসব নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে ছিল এবং মাঠপর্যায়ে ও রাজপথে থেকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে মোকাবিলা করেছে তাদেরই দলের মূল্যায়ন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।  
পিরোজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান অতিথি থাকার কথা রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর।
প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সদস্য ও পার্বত্য শান্তি চুক্তির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহম্মেদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, আনিসুর রহমান ও গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম এ আউয়াল। সভা পরিচালনা করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাকিম হাওলাদার।

সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি একেএমএ আউয়াল সভাপতি থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম আলোচনায় আসছে। তাদের মধ্যে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ হাকিম হাওলাদার, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ ও সদস্য ইসাহাক আলী খান পান্নার নাম শোনা যাচ্ছে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএমএ আউয়ালকে সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ হাকিম হাওলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।