• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নির্বাচন হবে

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২৩  

মাদারীপুর প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, ইনশাআল্লাহ নির্বাচন বেশিদিন বাকি নাই। বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে সময়মতো শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে কে আসবে, কে আসবে না সেটা আমাদের দলীয় বিষয় নয়। এটা আমাদের দেখার ব্যাপার না। কেউ যদি আসে আমরা কিছু মনে করি না। আমি এইটুকু বলতে পারি আপনারা (বিএনপি) যাকে শিবচর থেকে নমিনেশন দিবেন তার জামানত রক্ষা করাই কঠিন হয়ে যাবে।
শনিবার রাতে শিবচর উপজেলার নয়াবাজার এলাকায় সেতু সংলগ্ন বালুর চরে বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীফ হুইপ এসব কথা বলেন।
সমাবেশটি একপর্যায়ে জনসমুদ্রে রুপ নেয়।  ৯৭ কোটির ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত লিটন চৌধুরী সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫শত ৫০ মিটার, প্রস্থ্য ৯.৮০ মিটার, ব্রীজের ক্যারিজওয়ে ৭.৩০ মিটার, ফুটপাত ১.২৫ মিটার। স্প্যান রয়েছে ১১ টি, গার্ডারের সংখ্যা ৪৪ টি, সেতুটির উচ্চতা ২.৪০ মিটার, লাইট পোষ্ট রয়েছে ৪৬ টি। এর এ্যাপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য ৬১০ মিটার। ২০১৮ সালে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয় সেতুটির। এই সেতুটি নির্মানের ফলে শিবচরের শিরুয়াইল, নিলখী, দত্তপাড়াসহ কয়েকটি এলাকার লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নতুন দ্বার উন্মোচন হলো। এছাড়াও টেকেরহাট হয়ে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিকল্প সড়ক হিসেবে এ সেতু ব্যবহার করা যাবে। এসময় এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো: আলী আখতার হোসেন, মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, এলজিইডি মাদারীপুর তত্ত্বাধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, এম.এস আরডিপি প্রকল্প পরিচালক সেলিম সরকার, এলজিইডি মাদারীপুর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আ: লতিফ মোল্লা, পৌরসভার মেয়র মো: আওলাদ হোসেন খান, এলজিইডি শিবচর উপজেলা প্রকৌশলী কেএম রেজাউল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ডা: মো: সেলিম, পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
শান্তি সমাবেশে চীফ হুইপ আরো বলেন, আজকে একদিকে সন্ত্রাস আর আরেক দিকে শান্তি। বাংলাদেশের মানুষকেই বেছে নিতে হবে আপনারা সন্ত্রাস চান না শান্তি চান। আপনারা দেখেছেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কিভাবে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে। কিভাবে আগুন দেয়া হয়েছে। সেদিন দেখেছেন কিভাবে আন্দোলনের নামে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে, হাসপাতাল যেখানে যুদ্ধের সময়ও কেউ হামলা করে না। সেখানেও আগুন দেয়া হয়েছে। বাসের মধ্যে মানুষ মেরে ফেলা হয়েছে। একজন পুলিশ বাঁচার জন্য আকুতি করছে অথচ তাকে কিভাবে হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। সাংবাদিকরা সব সময় তাদের পাশে থেকে নিউজ করে, তাদেরকেও নির্যাতন করা হয়েছে। অনেকে এখনো হাসপাতালে আছে। এনাদের কাছে কখনো বাংলাদেশ নিরাপদ হতে পারে না। আজকে বাংলাদেশ যদি পিছিয়ে যায় তবে আমরা পাকিস্থান, আফগানিস্থানের মতো হয়ে যাবো। আমরা পিছিয়ে যেতে চাইনা, আমরা উন্নত দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে উন্নত বাংলাদেশ হতে চাই।
নূর-ই-আলম চৌধুরী আরো বলেন, যতই সন্ত্রাস করা হোক, যতই ষরযন্ত্র করা হোক ওই সাদা চামড়ার ষরযন্ত্র আমরা অনেক দেখেছি। এই ষরযন্ত্র মানুষ বিশ^াস করে না। আপনারা যদি মানবাধিকারই মনে করেন তাহলে ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফিরিয়ে নেন। তাহলে আমরা মনে করবো আপনারা মানবাধিকারের জন্য কাজ করছেন। যদি মানবাধিকার মনে করেন তাহলে ইসরাইল-ফিলিস্থানি যুদ্ধ বন্ধ করেন। মুসলমানদেরকে আর এভাবে হত্যা করেন না। তাহলে বোঝা যাবে আপনারা ইসলামকে ভালবাসেন, গণতন্ত্রকে ভালবাসেন। বাংলাদেশের অবস্থা পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে ভালো। আমাদের নেত্রী বলেছেন, আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে তারা কথা বলে কিন্তু তাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে মামলা হয়েছে সেটা কিন্তু বলে না।