• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

ওসির ওপর বোমা হামলার ঘটনায় আসামি চেয়ারম্যানসহ ৮৫ জন

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২২  

মাদারীপুর প্রতিনিধি মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ওসি শামীম হোসেনের ওপর হাতবোমা হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। সোমবার দুপুরে কালকিনি থানায় পুলিশের দুজন উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে এ মামলা দুটি করেন।
দুটি মামলায় আলীনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ পারভেজ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ওরফে মিলনসহ ৮৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এদিকে পুলিশ বাদী মামলায় চার জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়।

এদিকে পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরো আলীনগর ইউনয়ন পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। রোববার রাত পুলিশ আলীনগরসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। সোমবারেও পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকায় এলাকায় দুপক্ষের সবাই গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ পারভেজ ও সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ওরফে মিলনের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। চলতি বছরে এই দুপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পূর্বের বিরোধের জের ধরে রোববার সকালে দফায় দফায় ফাঁসিয়াতলা এলাকায় দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্সরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে উভয়পক্ষের লোকজন পুলিশকে লক্ষ করে বেশ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বোমার আঘাতে আহত হন ওসি শামীম হোসেন, দুই পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের আরও ১০ জন। আহত ওসি শামীম হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওসির ডান পায়ে বোমার স্প্লিন্টারের আঘাত থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে চিকিৎসক।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে কালকিনি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। ওসিসহ তিন পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় প্রথম মামলাটি কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বদরুজ্জামান বাদী হন। এতে এজাহারভুক্ত ৪৭ জনকে আসামিসহ অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। বিস্ফোরণ আইনে আরও একটি মামলা করেন কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম। এতে এজাহারভুক্ত ৩৮ জনসহ অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। দুটি মামলায় আলীনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ পারভেজ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ওরফে মিলনকে আসামি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে কালকিনি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মারগুব তৌহিদ বলেন, 'হাত বোমার আঘাতে আহত ওসি এখন শঙ্কামুক্ত। তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশের ওপর হামলা ও বোমা বিস্ফোরক করায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছেন। দুটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ৮৫ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। দুটি মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।'