নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে লাশ গুম করে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে
মাদারীপুর দর্পন
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২১
মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে মুর্শিদার সাথে একাধিক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় শাহাবুদ্দিন। একপর্যায় দুই পরিবার তাদের বিয়েও দিতে রাজি হয়। কিন্তু হঠাৎ শাহাবুদ্দিন ও তার দুই ভাই এই বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মুর্শিদাকে হত্যার পরিকল্পনা করে শাহাবুদ্দিন। পরে শাহাবুদ্দিন তার বাড়িতে ডেকে এনে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে মুর্শিদাকে। লাশ সময় নিয়ে গুম করতে নিজেই থানায় গিয়ে মুর্শিদা নিখোঁজ হয়েছে জানিয়ে জিডি করেন। পরে বাড়ির পিছনে সেপটিক ট্যাংকের নিচে মুর্শিদার হাত-পা বেঁধে লাশ চাপা দেওয়া হয়।
রিমান্ডে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা জানান এ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি শাহাবুদ্দিন আকন। আসামির স্বীকারোক্তির ওপর ভিত্তি করে গত শনিবার রাতে উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বোতলা এলাকায় শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের নিচ থেকে পঁচা ও গলিত মুর্শিদার লাশটি উদ্ধার করে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এদিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে শাহাবুদ্দিনকে রোববার বিকেলে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হোসেন কাছে তিনি দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহারের সূত্র জানায়, কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে শাহাবুদ্দিন আকনের (২৫) সাথে একই গ্রামের চাঁন মিয়া হাওলাদারের মেয়ে মুর্শিদা আক্তারের (১৭) প্রেমের সর্ম্পক ছিল। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ের পাকাপোক্ত কথাও হয়। গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে মুর্শিদা ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। মুর্শিদা বাড়িতে না ফিরে এলে মুর্শিদার বাড়ির লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মুর্শিদাকে না পেয়ে পরের দিন ১৯ ফেব্রুয়ারি ডাসার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। দীর্ঘ দিন মুর্শিদার কোনো খোঁজ না পাওয়ায় গত বছরের ৪ মার্চ মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম বাদী হয়ে শাহাবুদ্দিন আকনকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ডাসার থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ দিনেও মামলায় কোন অগ্রগতি না হওয়ায় গত ১৮ ডিসেম্বর মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখায় স্থানান্তর করে জেলা পুলিশ। পরে গত ৩১ ডিসেম্বর এ মামলায় প্রধান আসামি শাহাবুদ্দিন আকন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরে আদালত শাহাবুদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। পরে আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামি শাহাবুদ্দিন রিমান্ডে থাকাকালীন স্বীকারোক্তিতে জানায়, তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের নিচে মুর্শিদার লাশ লুকিয়ে রাখা আছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে শাহাবুদ্দিনের বাড়ির সেপটি ট্যাংকের নিচ থেকে মুর্শিদার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় মুর্শিদার বোরকা, ভ্যান্টিব্যাগ, সেন্ডেল, কানের দুলসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। পরে লাশের সুরতাল প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে পুলিশের দাবি, মুর্শিদাকে হত্যার পরিকল্পনাকারী শাহাবুদ্দিন একাই। তবে, মুর্শিদার পরিবারের দাবি একার পক্ষে শাহাবুদ্দিন মুর্শিদাকে হত্যা করে লাশ গুম করতে পারে না।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মুর্শিদার ছোট খালু রিপন শেখ বলেন, একার পক্ষের শাহাবুদ্দিন এ হত্যাকান্ড ঘটনা সম্ভব নয়। পুলিশের এই দাবি যৌক্তিক নয়। আমরা পুলিশের এ দাবি মানি না। এ হত্যার সাথে দুই ভাই আলাউদ্দিন ও সালাউদ্দিন এবং মা হাসিনা বেগমও এ হত্যার সাথে জড়িত। মুর্শিদাকে হত্যার দিন শাহাবুদ্দিনের মা, বোন বিউটি এবং বোন জামাই নুরুল ও দেলোয়ার বাড়িতে ছিল। আমরা তাদের আসামি করেছি। নুরুল ছাড়া সবাই জামিনে চলে আসে। কিন্তু নুরুলকে আসামি করার পরেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। তিনি এখনো পলাতক।
এ সম্পর্কে জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান বলেন, ‘এ হত্যাকান্ডে বিষয় আমরা স্পষ্ট কিছু প্রমাণ পেয়েছি। মুর্শিদার সাথে শারীরিক সম্পর্ক শেষে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে শাহাবুদ্দিন। লাশটি তার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের নিচে তিনি একাই চাপা দেন। এ সময় তার বাড়িতে কেউ ছিল না।’
জানতে চাইলে শাহাবুদ্দিনের মা হাসিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ওই মেয়েকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতো। ওই মেয়েকে ও মারে ফেলার কথা না। ওই মেয়ে আমার বাড়িতে প্রায়ই আসতো। আমার ছেলে যদি এরপরেও খুন করে থাকে তাহলে আইনে যা বিচার হইবে তা হোক।’
মুর্শিদার বাবা প্যারালাইসিসের রোগী হয়ে ঘরে শয্যাশয়ী। মা মাহিনুর বেগম ঘরের উঠানে আহাজারি করতে করতে বলছিলেন, ‘আমার মাইয়াডারে শাহাবুদ্দিন ডাইকা লইয়া গেছে। ডাক্তার দেখাইয়া ওষুধ আইনা আবার বাড়িতে ফেরার কথা কইয়া গেছে। ও আর ফিরা আহে নাই রে। আমার মাইয়াডারে যারা মাইরা হালাইছে, তাগের আমি ফাঁসি চাই রে।’
মুর্শিদার স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট মুর্শিদা। খাতিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়তেন তিনি। তিন বছর ধরে শাহাবুদ্দিনের সাথে মুর্শিদার প্রেমের সম্পর্ক। এরা উভয় প্রকাশ্যে চলাফেরা করতো। বিয়ের কথাও পাকাপাকি করা। যেদিন শেষ বের হয় সেদিন মুর্শিদাকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বের করে। কারণ মর্শিদার চুল পড়ে যাওয়া নিয়ে সমস্যা ছিল। এর আগেও ডাক্তারের কাছে শাহাবুদ্দিন নিয়ে যেত।
হত্যাকান্ড কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মুর্শিদার ছোট খালা বিউটি আক্তার বলেন, শাহাবুদ্দিনদের আর্থিক অবস্থা ভালো। তার দুই ভাই বিডিআরে চাকরি করে। শাহাবুদ্দিনের সাথে মুর্শিদার বিয়ের কথা হলেও মুর্শিদাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় পরে তারা বিয়েতে রাজি ছিল না। এ কারণেই মুর্শিদাকে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করে শাহাবুদ্দিন।
জাইতে চাইলে রোববার সন্ধ্যা ৭টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ‘আসামি শাহাবুদ্দিন নিজে এই হত্যাকান্ডে সম্পকৃতা উল্লেখ করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। আপতত এর বেশি বলা যাচ্ছে না। সোমবার তার জনাববন্দির বিস্তারিত জানানো হবে।’
- হুপিং কাশিতে আক্রান্ত কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- মুলতানি মাটি মাখলে গরমেও ত্বক থাকবে সতেজ
- গরুর মেজবানি মাংস রান্নার সহজ টিপস
- টেক্সট লিখলেই তৈরি হবে ভিডিও
- ‘মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে’
- ওমরাহ ভিসার জন্য নতুন আইন চালু করেছে সৌদি আরব
- কৃষি গুচ্ছের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ২২ এপ্রিল
- বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
- ২১ নাবিক দেশে ফিরবেন জাহাজে, বাকি দুজন বিমানে
- জ্বালানি তেলের দাম ফের বিশ্ববাজারে ৯০ ডলারের নিচে
- শরীয়তপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত
- শিবচরে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
- আবেগে নয়, জাকাত আদায় করতে হবে মাসআলা জেনে
- ঈদ স্পেশাল বোরহানি
- নগরীর আবাসিক হোটেলে অভিযানে গ্রেপ্তার ১৬
- বরিশালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
- দীপিকার ছেলে না মেয়ে হবে, জানালেন রণবীর
- ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ
- বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই
- ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে লালন করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে
- ভারত প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন ৫০ বিচারক
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও সোয়া লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি
- টায়ার ফেটে জরুরি অবতরণ, বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী
- মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- তেজগাঁওয়ে লাইনচ্যুত যমুনা এক্সপ্রেস
- আইটি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে : পলক
- সমৃদ্ধি সূচকে ভারত-পাকিস্তান থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ
- গ্রিসে খুলছে জনশক্তি রফতানির নতুন দুয়ার
- বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির
- তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোটের তফসিল হতে পারে আজ
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- মাদারীপুরে ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮
- ঈদের আলোচিত ৭টি নাটক
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে
- শিবচরে চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার ২
- মাদারীপুরে সুবিধাভোগিদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ
- আল্লাহর শেখানো ৬টি আদব
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু সিকদার গ্রেফতার
- ঈদে বাইকে দূরযাত্রায় যেসব বিষয়ে সতর্ক হবেন
- বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, সঙ্গে দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহ!
- মাদারীপুরে চোরাই মোটরসাইকেল চোর চক্রের দুই সদস্য আটক
- প্রধানমন্ত্রী সবার কথা ভাবেন বলে দেশ আজ উন্নত - শাজাহান খান
- অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ বুধবার
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- মাদারীপুরে ব্যাগভর্তি ককটেলসহ একজন আটক
- ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সবকিছু কোথায় গেল?
- প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠনের পরেই গ্রামকে শহরে পরিণত করার কাজ করছে
- কালকিনিতে হাতবোমা বানাতে গিয়ে নিহত ১
- শিবচরকে আমরা আরও উন্নত করবো- চিফ হুইপ
- অসত্য কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় না- শাজাহান খান এমপি
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- মাদারীপুরের রাজৈরে নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান দেখতে কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- বুয়েটের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক, ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে:সাদ্দম
- শিবচরে ১১ বস্তা চাল জব্দ, ডিলার মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা
- বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর পেনশন চালুর চিন্তা
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ