চুলে ডিম ব্যবহার করলে কী হয়?

চুল ভালো রাখার জন্য নানা ধরনের উপাদান আমরা ব্যবহার করে থাকি। বিভিন্ন ধরনের তেল, শুকনো ফল, শস্য কত কী! এই যে চুলের যত্নে ডিমেরও ব্যবহার করা যায় এই তথ্য নিশ্চয়ই আপনার কাছে নতুন নয়? কিন্তু কথা হলো পুষ্টিকর খাবার ডিম চুলে ব্যবহার করলে কী উপকার মেলে? মূলত এতে থাকা পুষ্টিগুণের কারণেই বিশেষজ্ঞরা চুলের যত্নে ডিম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ডিমে থাকে প্রচুর প্রোটিন ও মিনারেল। আরও থাকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজ করে। এই উপাদানগুলো চুলের গোড়া শক্ত করতে কাজ করে। ডিমে থাকা বায়োটিনের কারণে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে কয়েকগুণ। নিয়মিত ডিম ব্যবহার করলে কমে আসে চুল পড়ার পরিমাণ। ডার্মাটোলজি অ্যান্ড থেরাপি জার্নালের গবেষণাপত্রে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

চুলে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে ডিমের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুল মজবুত করে। মাস্কটি তৈরি করার জন্য একটি পাত্রে ২টি ডিম ফাটিয়ে নিন। এর সঙ্গে মেশান এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ দুধ বা টক দই। সবগুলো উপাদান ভালো করে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। মাস্কটি পুরো চুল ও মাথার তালুতে ভালো করে লাগিয়ে নিন। এরপর আধাঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন।

চুলের গোড়া শক্ত করতে কাজ করে ডিম। এদিকে অলিভ অয়েলও চুলের জন্যে দারুণ কার্যকরী। এই দুই উপাদান মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এতে অল্পদিনেই উপকার পাবেন। সেজন্য প্রথমে একটি পাত্রে একটি ডিম ফাটিয়ে নিন। এবার তার সঙ্গে টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। উপাদান দু’টি ভালো করে মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নিন। এবার সেই মাস্ক চুলে লাগিয়ে নিন। মিনিট বিশেক অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন।

বিভিন্ন কারণে চুল প্রাণহীন হয়ে পড়লে সাহায্য নিতে পারেন ডিমের। চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে কাজ করে ডিমের হেয়ার মাস্ক। তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে কলা ও মধু। প্রথমে একটি কলা চটকে নিন। এবার তার মধ্যে তিন টেবিল চামচ দুধ ও তিন টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর তার সঙ্গে মেশান একটি ডিম। সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই হেয়ার মাস্ক চুলে লাগিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন। পরিবর্তন আপনি নিজেই টের পাবেন।