• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন

সুস্থ মুরগির ডিম চেনার উপায়

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২  

ডিম যেমন স্বাদে অতুলনীয় তেমনই পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তাইতো প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অনেকেই সকালের নাস্তায় ডিম খেয়ে থাকেন। তাছাড়া সময় ও শ্রম বাঁচাতে দুপুর কিংবা রাতের খাবারের তালিকায় অনেকেই ডিম রাখেন।

কিন্তু জানেন কি ডিম খাওয়ার সময়ও বেছে নিতে হয় কোনটা ভালো মানের আর কোনটা নয়? কারণ বাজার এখন ভেজাল পণ্যে ছেয়ে গেছে। তেমনি ভেজাল আছে ডিমেও। চলুন তবে জেনে নেয়া  কীভাবে বুঝবেন কোন ডিম স্বাস্থ্যের জন্য বেশি পুষ্টিকর।

এই পরীক্ষার জন্য গবেষকরা তিন কার্টন ডিম কেনেন। প্রথম কার্টন কেনা হয় মুরগি খামারের মালিকের কাছ থেকে, দ্বিতীয় কার্টন কেনা হয় দোকান থেকে। দানাশস্য খাওয়া মুরগির ডিম ছিল এগুলো। তৃতীয় কার্টন কেনা হয় বড় সুপারমার্কেট চেন থেকে।

ডিমের কুসুম।

ডিমের কুসুম।

তিনটি কার্টন থেকে একটা করে ডিম নিয়ে ফ্রাইং প্যানে ফাটানো হয়। আর তখনই চোখে পড়ে পার্থক্যটা। ঠিক যেভাবে সঙ্গের ছবিতে দেখছেন। খামার মালিকের থেকে কেনা কার্টনের ডিমের কুসুমের রং ছিল গাঢ় কমলা। কিন্তু বাকি দুটো ডিমের কুসুমের রং দেখা যায় হালকা হলুদ।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, কমলা কুসুমের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি। এতে যেমন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিনের পরিমাণ বেশি থাকে, তেমনই কম থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রা।

বিশেষজ্ঞদের মতে মুরগির ডায়েটের উপরই নির্ভর করে ডিমের কুসুমের রং। যেই মুরগিরা বিভিন্ন রকম দানাশস্য, পোকামাকড় খায় তাদের ডিমের রং যেমন গাঢ় হলুদ হয়, তেমনই আঁশটে গন্ধও বেশি হয়। আর মুরগির স্বাস্থ্য যদি ভালো হয় তাহলে ডিমও হবে বেশি পুষ্টিকর। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও বেশি উপকারী।