• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাদারীপুর দর্পন
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

তুরস্কে স্বঘোষিত ধর্মগুরুর ৮,৬৫৮ বছরের জেল

মাদারীপুর দর্পন

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২  

নিজের পরিচয় দিতেন ধর্মগুরু হিসেবে। স্বল্পবসনা নারীদের নিয়ে টেলিভিশনে জীবনের পাঠও দিতে দেখা যেত। তুরস্কের সেই স্বঘোষিত ইসলামি ধর্মগুরুই এ বার বিরল সাজা পেলেন। জালিয়াতি, রাজনৈতিক এবং সামরিক চরবৃত্তি, যৌন নিগ্রহ, শিশুদের উপর লালসা মেটানোর দায়ে তাঁকে সাড়ে ৮ হাজার বছরেরও বেশি সময়ের কারাদণ্ড দিয়েছে সে দেশের আদালত।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দোষী সাব্যস্ত হওয়া আদনান ওকতারকে ইস্তাম্বুল আদালত এই বিরল সাজা দেয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বল্পবসনা নারীদের দ্বারা পরিবৃত হয়ে চেলিভিশনের পর্দায় আবির্ভূত হতেন আদনান। ওই সমস্ত মেয়েদের তিনি আদর করে 'বিড়ালছানা' বলে ডাকতেন। চড়া মেকআপে সেজে তাকে ঘিরে ধরে থাকতেন ওই মেয়েরা। তাদের মধ্যমণি হয়ে বসে টেলিভিশনের পর্দায় সৃষ্টিতত্ত্ব, রক্ষণশীল মূল্যবোধ নিয়ে লম্বা-চওড়া বক্তৃতা করতেন আদনান।

এর আগে, গত বছরই ৬৬ বছর বয়সি আদনানকে ১ হাজার ৭৫ বছরের সাজা শোনা সে দেশের নিম্ন আদালত। কিন্তু অপরাধের গুরুত্ব অনুধাবন করে আদনানের বিরুদ্ধে থাকা মামলা পৌঁছায় উচ্চ আদালতে। মামলার পুনর্বিচার শুরু হয়। তাতে নিম্ন আদালতের রায় পাল্টে দেয় উচ্চ আদালত। ১ হাজার ৭৫ বছরের পরিবর্তে ৮ হাজার ৬৫৮ বছর কারাবাসের সাজা শোনানো হয়।

যৌন নিগ্রহ, জালিয়াতি, চরবৃত্তি ছাড়াও ইচ্ছের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা হরণের ধারা প্রয়োগ করা হয় আদনানের উপর। আদনানের পাশাপাশি আরো ১০ জন সন্দেহভাজনও দোষী সাব্যস্ত হয়েছে আদালতে। তাদের প্রত্যেকেও ৮ হাজার ৬৫৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এমন বিরল সাজায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশে এবং দেশের বাইরেও।

আদনানের সমালোচকরা যদিও তাকে ধর্মগুরু মনেই করেন না। তাদের মতে, আদনানকে আদতে 'কাল্ট' নেতা হয়ে গিয়েছেন। কুকর্মের জন্যই কিছু মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। টেলিভিশনের পর্দায় তার কুরুচিকর অনুষ্ঠানও তাই গিলতে শুরু করেন অনেকে।

আদনানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব ছিলেন তুরস্কের ধর্মীয় নেতা-ব্যক্তিরা। অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত একটি মামলায় ২০১৮ সালে ইস্তানবুল পুলিশ আদনানকে হেফাজতে নেয়। তার সংগঠন এবং অনুগামীদেরও ধর-পাকড় করা হয়।